চট্টগ্রাম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর বোলিংটাও হচ্ছিল দারুণ। দ্বিতীয় দিনের সেই ছন্দটা অতিথিরা ধরে রাখল তৃতীয় দিনেও। তাই তো প্রোটিয়া বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না টাইগাররা। তাসের ঘরের মতো উড়ে গেল স্বাগতিক ব্যাটিং লাইন-আপ। ক্যাগিসো রাবাদার তোপ সামলাতেই দিশেহারা হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। চরম বাজে ব্যাটিংয়ের ষোলকলা পূর্ণ করে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৫ ওভার ২ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করেছে নাজমুল হোসেন শান্তরা। ৪১৬ রানে পিছিয়ে আছে স্বাগতিকরা। ফলোঅনে পড়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নামছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ৪ উইকেটে ৩৮ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। গতকাল ঠিক যেখানে শেষ করেছিল স্বাগতিকরা, আজ ঠিক সেখান থেকেই শুরু করেছে। দিন বদলালেও বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে বদল আসেনি। আজ আর ১০ রান যোগ করতেই আরো চার ব্যাটারকে হারিয়েছে তারা। সবমিলিয়ে দলীয় ফিফটির আগেই সাজঘরে ফিরেছেন ৮ ব্যাটার।
বুধবারের দুই অপরাজিত ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক আজ দিনের শুরু করেন। ব্যাট হাতে অফফর্মে থাকা বাংলাদেশ ব্যাটার সকালে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। কাগিসো রাবাদার বাইরে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। তিনি ফিরেছেন ৯ রানে।
অভিজ্ঞ মুশফিক উইকেটে এলেন আর গেলেন। মাঝে টিকতে পেরেছেন কেবল ২ বল। ড্যান প্যাটেরসনের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। মুশফিক ডাক খেয়ে ফিরলে উইকেটে আসেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ইনফর্ম এই ব্যাটার ৩ বল খেলে ১ রানের বেশি করতে পারেননি।
মিরাজ ফেরার এক বল পরই মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকেও ফিরিয়েছেন রাবাদা। অভিষেক ইনিংসে সিলভার ডাক খেয়েছেন তিনি। তাতে ৪ উইকেটে ৪৬ থেকে ২ রান যোগ করতেই আরো ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অঙ্কনকে আউট করে ইনিংসে ৫ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন রাবাদা।
৪৮ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলার চেষ্টা করেন মুমিনুল ও তাইজুল। দুজনে মিলে নবম উইকেট জুটিতে ১০৩ রান যোগ করেছেন তারা। মুমিনুল ৭৬ বলে ফিফটি স্পর্শ করেছেন। এগোচ্ছিলেন শতকের পথে। তবে কাটা পড়েন ৮২ রান করে।
এরপর তাইজুলও আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৯৫ বলে ৩০ রান করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে ফলোঅন এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।