স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও ভারত বর্তমানে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ৫ টেস্টের সিরিজ খেলছে। এই সিরিজের সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশও। লাল-সবুজের প্রতিনিধি হয়ে আইসিসির এলিট প্যানেলে প্রথম আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত ভারত-অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী দুই ম্যাচের আম্পায়ারিংয়ে থাকছেন।
আগামী ২৬ ডিসেম্বর মেলবোর্নে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে মুখোমুখি হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। বক্সিং ডে’তে শুরু হতে যাওয়া সেই টেস্টে টিভি আম্পায়ার হিসেবে থাকছেন সৈকত। এরপর ৩ জানুয়ারি থেকে সিডনিতে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্ট খেলবে দল দুটি। সেই ম্যাচে এই সৈকত থাকবেন অনফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্বে। এরআগে, দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কার টেস্ট সিরিজেও দুর্দান্ত আম্পায়ারিংয়ে আলোচনা আসেন তিনি।
ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার টেস্ট ম্যাচ পরিচালনায় দারুণ দক্ষতা দেখিয়েছেন সৈকত। বাংলাদেশিদের কাছে সেই ম্যাচের ফল অতটা গুরুত্ব না পেলেও, সৈকত ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে আলোচনায় এসেছেন। কারণ ম্যাচটিতে তার দেওয়া ৮টি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ নিয়ে প্রতিটিতেই ব্যর্থ হয়েছে প্রোটিয়া-লঙ্কান ক্রিকেটাররা। এরমধ্যে শতভাগই সফল ছিলেন আম্পায়ার সৈকত। কেবল এই ম্যাচই নয়, বছর জুড়েই আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচ পরিচালনায় নিজের অসাধারণ কীর্তি দেখিয়েছেন তিনি। পাঁচ ম্যাচের মধ্যে দুটিতেই সৈকত ছিলেন শতভাগ সফল।
দীর্ঘতম সংস্করণের ফরম্যাটটিতে ৫টি ম্যাচে তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্রিকেটাররা মোট ৩২টি রিভিউ নিয়েছেন। এর মধ্যে কেবল ৭টি সিদ্ধান্ত গেছে তার বিপক্ষে। বাকি ২৫ সিদ্ধান্তেই সফল হয়েছেন সৈকত। ফলে এবার বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির মতো হাইভোল্টেজ সিরিজেও দায়িত্ব পেলেন এই আম্পায়ার।