প্রথম দিনের শেষ দুই ব্যাটসম্যান যেভাবে উইকেট আগলে রেখে ব্যাটিং করেছিল ধারণা ছিল দ্বিতীয় দিনেও আসবে বেশ কিছু রান। তবে তা আর হলো না। দ্বিতীয় দিনের প্রথম বলেই সাউদির বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েছেন শরীফুল ইসলাম। পাকিস্তানি আম্পায়ার আবেদনে সাড়া না দিলেও রিভিউ নিয়ে ঠিকই সফল হন কিউই অধিনায়ক। আগের দিনের ৩১০ রানের সঙ্গে কোন রান যুক্ত করার আগেই অলআউট বাংলাদেশ। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করছে নিউজিল্যান্ড। এই প্রতিবেদনটি লেখার আগ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ১৬ ওভারে ২ উইকেটে ৪৬ রান।
দিনের শুরুতেই বাংলাদেশ এক প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে দেওয়া নিউজিল্যান্ড ব্যাটিংয়ে নেমে ভালোই এগিয়ে যাচ্ছিল। পেস-স্পিন মিলিয়ে আক্রমণ করেও নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনারের জুটি ভাঙতে পারছিল না শরিফুল-মিরাজরা।সাবলীল খেলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন দুই ওপেনার টম লাথাম ও ডেভন কনওয়ে। এরপরই তাইজুল ইসলামের ব্রেক থ্রু। ফেরান ২১ রান করা লাথামকে। ভাঙে ৩৬ রানের জুটি।
এরপর আট রান যোগ করতেই বিদায় নেন আরেক ওপেনার কনওয়ে। ১২ রান করা কনওয়ের উইকেট তুলে নেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
এর আগে, শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় মাত্র ৩৯ রানে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন ওপেনার জাকির হাসান। এরপরে নাজমুল হোসেন শান্ত ও আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় হাল ধরার চেষ্টা করেন। ব্যক্তিগত ৩৭ রান করে আউট হন শান্ত। এরপরে মুমিনুল হক এসে জয়কে যোগ্য সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেন। জুটিতে ৮৮ রান হলে আউট হন মুমিনুল। তিনি ফেরেন ৩৭ রান করে।
ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে এভাবে একের পর এক আউটে হতাশ হয়েছেন ভক্তরা। বিশেষ করে শান্ত যেভাবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিংয়ে ছিলেন, সেটি টেস্টের সঙ্গে বড্ড বেমানান। আবার জাকিরের আউটও মেনে নেওয়া যায় না। ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি যেভাবে রান করেছেন, তার প্রভাব দেখা যায়নি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ভুলভাবে ব্যাট চালিয়ে ফিরেছেন শুরুরদিকেই।
এ দিকে মুমিনুল আউট হলে সেঞ্চুরির আশা দেখানো জয়ও আউট হন। তিনি ৮৬ রান করে ইশ সোধির বলে আউট হয়েছেন। তবে জয় চাইলে ইনিংসটাকে আরও বড় করতে পারতেন। অপরদিকে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮৪ রান। এরপরে চা বিরতি শুরু হয়। ফিরে এসে উইকেট হারানোর প্রতিযোগিতায় নামে বাংলাদেশ। ১২ রান করে মুশফিকুর রহিম, ২৪ রান করে অভিষিক্ত শাহাদাত হোসেন দিপু ও ২০ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজ আউট হন।
শেষদিকে নুরুল হাসান সোহানও খেলতে পারেননি দায়িত্বশীল ইনিংস। ২৮ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ২৯ রান করে বিদায় নেন বাংলাদেশের এই উইকেটরক্ষক। সোহানের এই উইকেটটি ছিল গ্লেন ফিলিপসের চতুর্থ শিকার। এরপরে নাঈম হাসান ৮ রান করে আউট হলে ৩০০ রানের আগেই বাংলাদেশের ইনিংস পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকে। তবে সে যাত্রায় রক্ষা করেন তাইজুল ও শরিফুল। শেষ পর্যন্ত তারা দ্বিতীয় দিনে খেলা নিয়ে গেলেও খেলতে পেরেছেন মাত্র ১টি বল। টিম সাউদির বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন শরিফুল।