নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রথমে চট্টগ্রামকে ১৫৭ রানে আটকে রেখেছিল খুলনা টাইগার্স। মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তামিম ইকবাল ও জয়ের ব্যাটে তৈরি হয়ে জয়ের মঞ্চ। যদিও শেষদিকে একটু রোমাঞ্চের ইঙ্গিত ছিল, তবে সেসব ছাপিয়ে খুলনাকে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন খুলনার অধিনায়ক ইয়াসির আলি ও ব্যাটার আজম খান।
চট্টগ্রামের বিপক্ষে এই ম্যাচের খুলনার জয় এসেছে ৭ উইকেটের ব্যবধানে। সবমিলিয়ে চলতি আসরে পাঁচ ম্যাচে এটা দ্বিতীয় জয় খুলনার।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার ম্যাক্স ও’দাউদকে হারায় চট্টগ্রাম। এরপর আফিফকে নিয়ে প্রাথিম চাপ সামাল দেন আরেক ওপেনার উসমান খান।
দু’জনের ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রামের রানের চাকাও চলতে থাকে সাবলীলভাবে। ইনিংসের ৯ম ওভারে উসমান আউট হলে ভাঙে তাদের ৭০ রানের জুটি। এরপর রাসুলি নামার পর আবারও রানের চাকা স্লো হয়ে যায়।
এরপর দলীয় ১১১ রানে বিদায় নেন আফিফ হোসেন। ফেরার আগে ৩১ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এরপরই আসা যাওয়ার মিছিল শুরু হয় চট্টগ্রামের ব্যাটিং লাইনআপে।
২০ রানের ব্যবধানে ফিরে যান রাসুলি, খাজা নাফি ও জিয়াউর রহমান। শেষদিকে ব্যাট হাতে ঝড় শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি ফরহাদ রেজা। তবে অন্যরা উইকেটে থিতুই হতে পারেননি। শেষ ওভারেই ফিরে গেছেন তিন ব্যাটার।
শেষ পর্যন্ত রেজার ৯ বলে ২১ রানের ইনিংসের উপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৭ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় খুলনা। শূন্য রানে ফিরে যান মুনিম শাহরিয়ার। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে প্রাথমিক চাপ সামাল দেন তামিম ইকবাল।
দু’জনের জুটিতে খুলনার স্কোরবোর্ডে জমা হয় ১০৪ রান। আউট হওয়ার আগে ৩৭ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় তামিমের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান।
সঙ্গীকে হারানোর পর বেশিক্ষণ পর টেকেননি জয়ও। পাঁচ রানের ব্যবধানে ফেরার আগে ৪৪ বলে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৫৯ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
টানা দুই উইকেট নিয়ে চট্টগ্রাম কিছুটা সময়ের জন্য হলেও ম্যাচে ফেরে। তবে এরপরই এগিয়ে আসেন খুলনার অধিনায়ক ইয়াসির আলি। ব্যাট হাতে চতুর্থ উইকেটে আজম খানের সঙ্গে ৫০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য খুলনার প্রয়োজন ছিল পাঁচ রান। প্রথম বল ডট গেলেও দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে আসরে খুলনার জয় নিশ্চিত করেন ইয়াসির। শেষ পর্যন্ত তার ব্যাট থেকে এদিন এসেছে ১৭ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৬ রানে অপরাজিত ইনিংস।