চলতি মৌসুমের আগে ইংলিশ ক্লাব চেলসি ছেড়ে জার্মান ক্লাব আরবি লাইপজিগে যোগ দেন টিমো ওয়ার্নার। নিয়মিত একাদশে সুযোগ পেয়ে খেলছিলেনও নিয়মিত। ধারণা করা হচ্ছিল, জার্মানির বিশ্বকাপে স্কোয়াডেও জায়গা মিলবে তার। তবে চোটে পড়ায় জার্মানদের হয়ে কাতারে যাওয়া হচ্ছে না তার।
বুধবার (২ নভেম্বর) শাখতার দোনেস্কের বিপক্ষে লাইপজিগের জার্সিতে মাঠে নামেন টিমো ওয়ার্নার। ওই ম্যাচের ১৩মিনিটের মাথায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়তে দেখা যায় তাকে।
এরপর থেকেই জার্মানি দলে তাকে পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছিল শঙ্কা। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) লাইপজিগের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়, ওয়ার্নারের চোট গুরুতর। ফলে ২০২২ সালের বাকি সময় তাকে মাঠে পাওয়া যাবে না।
টুইট বার্তায় বিশ্বকাপ না খেলার কথা নিজেও নিশ্চিত করেছেন ওয়ার্নার। তিনি বলেন, “আমার জন্য ব্যাপারটা মেনে নেওয়া খুবই কঠিন। তবু আগামী কয়েক সপ্তাহ আমাকে মাঠের বাইরেই থাকতে হবে। বিশ্বকাপ মিস করব। দুর্ভাগ্যজনকভাবে শয্যায় থেকে জার্মানি ও লাইপজিগকে সমর্থন করে যেতে হবে আমার।”
জার্মানির জার্সিতে ওয়ার্নারের পরিসংখ্যান দারুণ। জার্মানদের জার্সিতে এখন পর্যন্ত ৫৫ ম্যাচে করেছেন ২৪ গোল। এমনকি, জার্মানির বিশ্বকাপ নিশ্চিত করার ম্যাচেও জোড়া গোল করে দলের জয়ে ভূমিকা রেখেছিলেন এই ফুটবলার।
চলতি মৌসুমে লাইপজিগের দারুণ ছন্দে ছিলেন এই ফুটবলার। এই সময়ে ১৬ ম্যাচ করেছিলেন ৯ গোল। ছন্দে থাকা ২৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের চোটে পড়ার হতাশ জার্মান কোচ হ্যান্সি ফ্লিক।
তিনি বলেন, ‘এটা খুবই খারাপ খবর। টিমোর জন্য আমার খুব খারাপ লাগছে, কারণ বিশ্বকাপ খেলার জন্য সে মুখিয়ে ছিল। সবচেয়ে বড় কথা ওর অনুপস্থিতি দলের জন্য বড় ক্ষতি। আমি ওর দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।’
কাতারে জার্মানির বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হবে ২৩ নভেম্বর। ওই দিন জাপানের বিপক্ষে মাঠে নামবে জার্মানি। ‘ই’ গ্রুপে জার্মানদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ হলো স্পেন ও কোস্টারিকা।