স্প্যানিশ গলফার জন রাম রদ্রিগেজ আর আর্জেন্টাইন ফুটবল সুপারস্টার লিওনেল মেসিকে টপকে গেলেন পর্তুগিজ ফুটবল তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। না, এটা ফুটবল মাঠের খেলায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া নয়, বার্ষিক আয় করা কত সে দিক দিয়ে।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি উপার্জনকারী খেলোয়াড় হিসেবে এবারও তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছেন রোনালদো। যুক্তরাষ্ট্রের বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বস সেই তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে আগের দুই বছর সবচেয়ে বেশি উপার্জনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মেসির নাম এবার নেমে এসেছে তালিকার তিন নম্বরে।
স্প্যানিশ গলফার রদ্রিগেজ এবার মেসিকে টপকে গিয়ে দ্বিতীয় সেরা আয় করা খেলোয়াড় হিসেবে তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। মাত্র ২৯ বছর বয়সী এই তারকা খেলোয়াড় বছরে আয় করেন ২১ কোটি ৮০ লাখ ডলার। তৃতীয় অবস্থানে নেমে যাওয়া মেসির আয় সেখানে বছরে এখন ১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
ফোর্বস-এর মতে, সি আর সেভেন তারকা তথা রোনালদোর বাৎসরিক আয় ২৬ কোটি ডলার। যার মধ্যে সৌদি লিগের ক্লাব আল নাসর থেকে আয় ২০ কোটি ডলার আর বাকি ৬ কোটি ডলার আসে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে করা চুক্তি থেকে।
সবচেয়ে বেশি আয়ের তালিকার পরের দুটি স্থান দখলে রেখেছেন দুই বাস্কেটবল সুপারস্টার। এর মধ্যে চতুর্থ স্থানে থাকা কিংবদন্তি লেব্রন জেমসের বছরে আয় ১২ কোটি ৮২ লাখ ডলার। পঞ্চম স্থানে থাকা নাইজেরিয়ান বংশদ্ভুত গ্রীক তারকা ইয়ানিস আটিটোকোম্পোর বাৎসরিক আয় ১১ কোটি ১০ লাখ ডলার।
এরপরের স্থানগুলো দখলে নিয়েছে আবারও ফুটবল তারকারা। এর মধ্যে ষষ্ঠ সেরা উপার্জনকারী খেলোয়াড় পিএসজি ছাড়তে যাওয়া কিলিয়ান এমবাপ্পে। যার বছরে আয় ১১ কোটি ডলার। তবে জুড়ে ইনজুরিতে থাকলেও আয় কমেনি তেমন আল হিলালের ব্রাজিলান তারকা নেইমারের। সপ্তম স্থানে থাকা এই তারকার বছরে আয় ১০ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
অষ্টম স্থানে আছেন সৌদি লিগে খেলা তারকা করিম বেনজেমার। ইত্তিহাদের এই ফরাসি স্টারের বাৎসরিক আয় ১০ কোটি ৬০ লাখ ডলার। তালিকার নয় নম্বরে আছেন বাস্কেটবলের আরেক তারকা স্টিফেন কারি। যার আয় ১০ কোটি ২০ লাখ ডলার। দশম ১০ স্থান পেয়েছেন রাগবি খেলোয়াড় লামার জ্যাকসন। এনএফএলের এই তারকা আয় করেন বছরে ১০ কোটি ৫ লাখ ডলার।