মর্যাদা বাঁচানোর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৩০০ রানের আগেই বেঁধে ফেলেছে ইংল্যান্ড। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি অজিরা। ওপেনারদের দ্রুত বিদায়ের পর স্টিভেন স্মিথ ও মার্নাস ল্যাবুশেনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এরপর লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে ৪৯ ওভার ৩ বলে ২৮৬ রান তুলে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।
শনিবার (৪ নভেম্বর) আহমেদাবাদে নতুন বলে দুর্দান্ত শুরু করেন ইংলিশ পেসাররা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে অজি ওপেনার ট্রাভিস হেডকে সাজঘরে ফেরান ক্রিস ওকস। ১১ রান করে এই ওপেনার ফেরার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারও। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ রান।
৬ ওভার শেষ হওয়ার আগেই ৩৮ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ধুঁকতে থাকা দলকে টেনে তুলার দায়িত্ব নেন স্টিভেন স্মিথ ও মার্নাস ল্যাবুশেন। তৃতীয় উইকেটে এই দুইজনের ৭৫ রানের জুটিতে চাপ কাটিয়ে ওঠে অস্ট্রেলিয়া। ৪৪ রান করে স্মিথ আউট হলে এই জুটি ভাঙে। তবে অন্যপ্রান্তে থাকা ল্যাবুশেন হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেলেও তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। তিনি ৮৩ বলে ৭ চারে ৭১ রান করে মার্ক উডের শিকার হয়ে ফিরেছেন।
ল্যাবুশেনের বিদায়ের পর ফিফটির আগেই ফিরে গিয়েছেন ক্যামেরুন গ্রিন। এই ব্যাটার ৫২ বলে ৫ চারের সাহায্যে ৪৭ রান করেন। গ্রিনের বিদায়ের পর মার্কাস স্টইনিসও দলের হাল ধরতে পারেননি। ৩৫ রান করে সাজঘরে প্যাভিলিয়ানের পথ ধরেন। শেষদিকে প্যাট কামিন্স-মিচেল স্টার্করা দ্রুত ফেরায় তিনশো ছাড়াতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ার স্কোর। নবম উইকেটে অ্যাডাম জাম্পার ১৯ বলে ২৯ রানের কল্যাণে অজিরা চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায়। ইংলিশদের হয়ে ওকস ৫৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন।