টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৮ বছরের ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে সর্বাধিক ৪১৮ রান করার রেকর্ড ইতিহাস রয়েছে। আর সেই বিশ্বরেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিতে করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০০৩ সালে। এবার পার্থ টেস্টে ভারতের বিপক্ষে জিততে হলে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে শুধু ঐ বিশ্বরেকর্ড ভাঙলেই চলবে না, গড়তে হবে নতুন বিশ্বরেকর্ড। যেখানে অজিদের জিততে চাই ৫৩৪ রানের বিশাল স্কোর।
ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪৮৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করায় ঐ লক্ষ্য চলে এসেছে স্বাগতিকদের সামনে।
এমন লক্ষ্য সামনে নিয়ে চতুর্থ ইনিংস শুরু করতেই কুল-কিনারা হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। তারা রোববার তৃতীয় দিনের খেলাশেষে মাত্র ১২ রান তুলতেই ৩টি উইকেট হারিয়ে ফেলে। নাথান ম্যাকসুইনে (০), প্যাট কামিন্স (২) এবং লাবুশেন (৩) আউট হন ভারতীয় পেসারদের আক্রমণে। ওসমান খাজা ৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
এখন ভারতের দরকার প্রতিপক্ষের ৭টি উইকেট। আর জিততে বাকি দুই দিনে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ৫২২ রান।
প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া অধিনায়ক যশপ্রীত বুমরাহ নিলেন আরও ২টি এবং ১টি নেন মোহাম্মদ সিরাজ। লাবুশেন আউট হওয়ার পর আম্পায়ররা দিনের খেলা শেষ করেন।
এর আগে, বুমরাহ অপেক্ষা করছিলেন, কখন সেঞ্চুরি করবেন বিরাট কোহলি। তিনি তিন অংক ছোঁয়ার পরই ইনিংস ঘোষণা করেন বুমরাহ। ১৪৩ বলে ১০০ রান করেন কোহলি। তার সঙ্গে ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন নিতিশ কুমার রেড্ডি।
দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের রড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন দুই ওপেনার যসশ্বী জসওয়াল ও লোকেশ রাহুলের ২০১ রানের জু্টি। ১৭৬ বলে ৭৭ রানের ঠাণ্ডা মাথার ইনিংস খেলে মিচেল স্টার্কের বলে রাহুল আউট হলে জুটি ভাঙে।
জযসওয়াল হাঁকান টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। জসওয়াল নিজের ইনিংসকে টেনে নিয়ে যান ১৬১ রানে। ২৯৭ বলে মোকাবেলা করে হাঁকান ১৫ ও ৪ ছক্কা।
ক্যারিয়ারের ৩০তম টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকানোর পথে কোহলি খেলেন ১৪৩ বল, হাঁকান ৮ চার ও ২ ছক্কা। এছাড়া ৯৪ বলে ২৯ রান করেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ৭১ বলে ২৫ রান করেন দেবদূদ পাডিক্কেল।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২ উইকেট নেন নাথান লায়ন। ১টি করে উইকেট শিকার করেন মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজেলউড, প্যাট কামিন্স ও মিচেল মার্শ।