সর্বশেষ ২০০১ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ সিরিজ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। দীর্ঘ ২২ বছর ধরে ইংলিশ মাটিতে সিরিজ জিততে না পারার আক্ষেপ এবার ঘোচানোর সুযোগ পেয়েছে অজিরা। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) থেকে ওভালে শুরু হতে যাওয়া পঞ্চম ও শেষ টেস্টে ড্র বা জয় পেলেই দীর্ঘ ২২ বছর পর ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে অস্ট্রেলিয়া। অন্য দিকে সিরিজ হার এড়াতে এ ম্যাচে জয় ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই ইংল্যান্ডের। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় শুরু হবে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্ট।
বার্মিংহামের এজবাস্টনে সিরিজের প্রথম টেস্টে ২ উইকেটের রোমঞ্চকর জয় দিয়ে এবারের অ্যাশেজ শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে ৪৩ রানে হারিয়ে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় অজিরা। তৃতীয় টেস্টে ৩ উইকেটে দারুণ জয়ে সিরিজে ব্যবধান ২-১ এ নামিয়ে আনে ইংলিশরা।
ম্যানচেষ্টারে চতুর্থ টেস্টে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ৩১৭ রানের জবাবে ‘বাজবল’ স্টাইলে রানের পাহাড় গড়ে ইংল্যান্ড। জ্যাক ক্রলির ১৮২ বলে ১৮৯ এবং জনি বেয়ারস্টোর অপরাজিত ৯৯ রানের সুবাদে ৫৯২ রান করে ইংলিশরা।
২৭৫ রানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ দিন শেষে ৫ উইকেটে ২১৪ রান করে অস্ট্রেলিয়া। তখনও ৬১ রানে পিছিয়ে ছিল অজিরা। বৃষ্টির কারণে ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিন ভেস্তে গেলে টেস্টটি ড্র হয়। সিরিজ জয়ের আশা সেখানেই শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের।
ম্যানচেষ্টারে ড্র তে অ্যাশেজ সিরিজ নিজেদের দখলেই রাখা নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া। কারণ ২০২১-২২ মৌসুমে সর্বশেষ অ্যাশেজ সিরিজ জিতেছিল অজিরাই।
২০১৯ সালের মতো একই চিত্র এবারের অ্যাশেজে। সেবারও প্রথম চার টেস্ট শেষে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। ওভালে ছিলো সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্ট। ওভালের ঐ টেস্ট ১৩৫ রানের ব্যবধানে সিরিজ ড্র করে ইংল্যান্ড।
ওভাল টেস্টের আগে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার ট্রাভিস হেড বলেন, ‘আমরা এখানে অ্যাশেজ সিরিজ জিততে এসেছি এবং এটি করতেআমরা অনেক বড় পথ অতিক্রম করছি।’
শেষ টেস্টে স্পিনার টড মারফিকে দলে ফেরাতে পারে অস্ট্রেলিয়ার। লিডসে খেললেও, ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্ট থেকে বাদ পড়েন তিনি।
এদিকে বিশ্ব ক্রিকেটের অভিজ্ঞ পেসার জেমস এন্ডারসনের ফর্ম নিয়ে চিন্তিত ইংল্যান্ড। ৭৬ দশমিক ৭৫ গড়ে এ পর্যন্ত মাত্র ৪ উইকেট নিয়েছেন এন্ডারসন । এন্ডারসনের খেলা হুমকির মুখে পড়ায় ইংল্যান্ডের পেস আক্রমনে স্টুয়ার্ট ব্রড, ক্রিস ওকস ও মার্ক উডের সঙ্গী হবার অপেক্ষায় আছেন সুস্থ হয়ে উঠা ওলি রবিনসন ও জশ টাং। এবারের অ্যাশেজে সর্বোচ্চ উইকেট নিয়ে শীর্ষে আছেন ব্রড।
আগের টেস্টের একাদশে কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন ইংল্যান্ডের ব্যাটার হ্যারি ব্রুক। তিনি বলেন, ‘যদি আমরা এই সপ্তাহে জিততে পারি তাহলে এটি হবে নৈতিকতার জয়।’
গত বছর কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম-অধিনায়ক বেন স্টোকস জুটি গড়ার পর আক্রমনাত্মক ‘বাজবল’ স্টাইলে ১৭ টেস্টের মধ্যে ১২টিতে জয়, ৪টি হার ও ১টিতে ড্র করে ইংল্যান্ড।