বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মাঠে নামা হয়নি আর স্পেনের। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) নেশনস লিগের মধ্যদিয়ে আবারও মাঠে নামতে যাচ্ছে স্প্যানিশরা। কিন্তু দেশটির বিশ্বকাপ জয়ী নারী ফুটবলাররা এখনো না খেলার ব্যাপারে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন তারা। তাদরে দাবি ফেডারেশনে ঢালাওভাবে পরিবর্তন না করলে তারা আর জাতীয় দলের হয়ে খেলবেন না।
নেশনস লিগে শুক্রবার সুইডেন ও মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে স্পেন ফুটবল ফেডারেশন। এই দলে জায়গা পেয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী ১৫ নারী ফুটবলার। তারা প্রত্যেকেই ফেডারেশনে আরও পরিবর্তন না হলে মাঠে নামতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। দলে ডাক পাওয়ার পরও সেই কথা আবারও পুনর্ব্যক্ত করে বিবৃতিতে দিয়েছেন ফুটবলাররা। বিশ্বকাপজয়ী ২৩ জনসহ ৩৯ ফুটবলার এক বিবৃতিতে বলেন, “এই বিবৃতি এখনো যুক্তিসংগত। আমরা দুঃখিত যে, ফেডারেশন আরও একবার আমাদের এমন অবস্থায় ফেলেছে যেখানে আমরা কখনোই থাকতে চাইনি।”
২০২৩ সালের নারী বিশ্বকাপের ফাইনাল হয় ২০ আগস্ট। সেই ফাইনাল ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নিজ দলের ফুটবলার হেনি এরমোসোর ঠোঁটে চুমু দিয়ে বসেন স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। এনিয়ে প্রচুর সমালোচিত হন তিনি। এর কিছুদিন পর সভাপতি পদত্যাগ করেন। যদিও এর আগেই তাকে ৯০ দিনের সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেয় ফিফা। শুধু তা-ই নয়, চুমু-কাণ্ডের পর ৮০ জনেরও বেশি ফুটবলার হুমকি দিয়ে ছিল দেশটির জাতীয় দলের হয়ে না খেলার। রুবিয়ালেসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে বরখাস্ত হন বিশ্বকাপজয়ী কোচ হোর্হে ভিলদা। ৩৯ জন ফুটবলার এখনো তাদের দাবিতে অটুট রয়েছেন। এই দলে ব্যালন ডি`অর জয়ী আলেক্সিয়া পুতেয়াসেরও নাম আছে।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের খবর, নেশনস লিগে ডাক পাওয়া খেলোয়াড়েরা স্পেনের হয়ে না খেললে তাদের লাইসেন্স কয়েক বছরের জন্য বাতিল করা হতে পারে। এদিকে, নতুন স্প্যানিশ কোচ মোতসে তোমের দলে সুযোগ পাননি এরমোসো।