১৫৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৯ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা। এরই মধ্যে ঝমঝমিয়ে নামে বৃষ্টি।
৭.২ ওভারে ৩ উইকেটে ৪১ রান নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরে স্বাগতিক দল। ওই অবস্থায় খেলা বন্ধ হলে বাংলাদেশ হেরে যেতো।
তবে স্বস্তির খবর, বৃষ্টি থেমেছে দ্রুতই। আবারও ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। এবার সাকিব আল হাসান মারমুখী চেহারায়। আফগান পেসার ফরিদ আহমেদকে দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন সাকিব। পরের ওভারে রশিদ খানকেও চার মেরেছেন।
বাংলাদেশ তৃতীয় উইকেট হারাল পাওয়ারপ্লের ঠিক পরের ওভারেই। ওমরজাইকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে পুল করতে গিয়ে মোটেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি লিটন। মিড অফে রশিদ খানের কাছে গেছে সহজ ক্যাচ। যতটা তেঁড়েফুঁড়ে শট খেলতে এসেছিলেন, লিটনকে ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে লিটনের হাঁটার গতি যেন থাকল ততই কম। ১৯ বলে ১৮ রান করে থেমেছেন লিটন। ৬.৩ ওভারে রান উঠেছে ৩৯। বাংলাদেশের চাপ বাড়ল আরও।
মুজিবকে অনেকটা জায়গা বানিয়ে স্লগ সুইপের মতো খেলতে চেয়েছিলেন নাজমুল। মুজিবের বল অনুসরণ করে তাকে। নাজমুল মিস করেন, কিন্তু তার পেটে/পিঠে লাগার পর বল গিয়ে লাগল স্টাম্পে! নাজমুল নিজেও খুঁজে ফিরছিলেন বলটি, যেটি তার আগেই বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে তার। রনির পর নাজমুলও বোল্ড।
আফগানিস্তানের হয়ে প্রথম আঘাতটি করবেন ফজলহক ফারুকি, এ সফরে যেন এটিই নিয়ম! তামিম ইকবাল, লিটন দাস, মোহাম্মদ নাঈমের পর এবার রনি তালুকদারকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাতটি করলেন আফগানিস্তানের বাঁহাতি পেসার। ভেতরের দিকে ঢোকা বল পুরো মিস করে গেছেন রনি, গোত্তা খেয়েছে অফ স্টাম্প।
চতুর্থ বলে বেশ বাইরে পেয়ে কাভার দিয়ে চার মেরেছিলেন রনি, কিন্তু ফিরতে হলো ফারুকির বলেই। প্রথম ওভারেই উইকেট হারাল বাংলাদেশ।