এশিয়ান বক্সিং ফেডারেশনের সুপার লাইটওয়েটের শিরোপা জিতেছেন সুরো কৃষ্ণ চাকমা। পেশাদার বক্সিংয়ে নাম লেখানোর পর এখন পর্যন্ত ৬টি ম্যাচ খেলে সবগুলোতেই অপ্রতিদ্বন্দ্বী রাঙ্গামাটি থেকে উঠে আসা এই বক্সার। নেপালের মহেন্দ্র বাহাদুর চাঁদকে আট রাউন্ডে হারিয়ে চারদিক থেকে অভিনন্দন বার্তা পাচ্ছেন।
এবারের আসরে লড়াইটি ছিল তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। তবে আট রাউন্ডের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অপরাজেয় থাকার ছন্দটা ধরে রাখেন সুর কৃষ্ণ এবং পৌঁছে যান সাফল্যের শিখরে। বাংলাদেশের প্রো-বক্সিংয়ের আয়োজক এক্সেল স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড প্রমোশন ও বাংলাদেশ বক্সিং ফেডারেশনের (বিবিএফ) উদ্যোগে হয়েছে এবারের চ্যাম্পিয়নশিপ। তাতে বাংলাদেশ ছাড়াও অংশ নেন রাশিয়া, ফ্রান্স, তুরস্ক, নেপাল ও ভারতের বক্সাররা। ৬টি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১৬জন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছেন।
বাংলাদেশের কোনো পেশাদার বক্সারের জন্য সর্বোচ্চ এই অর্জন প্রসঙ্গে সুরো চাকমা বলেন, “বাংলাদেশের হয়ে বক্সিংয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া আমার স্বপ্ন। সাউথ এশিয়া থেকে এবার এশিয়ার শীর্ষ অবস্থানে পৌঁছানোটা সেই স্বপ্নের কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করা। এই জয়গুলো আমাকে সাহস দিচ্ছে, প্রেরণা যোগাচ্ছে। আগামীতে বিশ্ব বক্সিংয়ে বাংলাদেশের নাম আরো উজ্জ্বল করতে পারবো বলে আমি আশাবাদী।“
শনিবার রাতে নেপালের মহেন্দ্র বাহাদুর চাঁদের বিপক্ষে লড়াইটি ছিল তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। কিন্তু আট রাউন্ডের বাউটে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অপরাজেয় থাকার ছন্দটা ধরে রাখেন সুরো। লড়াইয়ে এক পর্যায়ে তার মনে হচ্ছিল নক আউট না হয়ে যান! সুরো নিজেই বলেন, “নেপালের বক্সার খুব রাফ অ্যান্ড টাফ খেলছিল। সে চাইছিল কোনোভাবে আমাকে ইনজুর্ড করে ম্যাচ তার পক্ষে নিয়ে যেতে। আমি ইনজুর্ড হয়ে খেলতে না পারলে তখন সে জিতে যাবে। যদিও তার পয়েন্ট কমবে। কিন্তু তাতে কী। আমার রক্ত পড়া চলতে থাকলে তো শেষ পর্যন্ত সে জিতে যাবে। তাই আমাকে অনেকটাই দেখেশুনেই খেলতে হয়েছে। আমি মহেন্দ্র বাহাদুরকে সেই সুযোগটা দিতে চাইনি। শেষ পর্যন্ত দেখে শুনে লড়াই করে ম্যাচ জিতেছি।”