ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল দেখা হল না। এশিয়ান গেমসের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে ওঠেছে আফগানিস্তান। পাকিস্তানের দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য ১৩ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেট হারিয়ে টপকে যায় আফগানিস্তান।
আজ (শুক্রবার) চীনের হংজুর পিংফেং ক্রিকেট ফিল্ডে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তানের অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব। তবে পাকিস্তান যেভাবে ইনিংসের শুরু করেছিল তাতে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে হতেই পারতো গুলবাদিনের। প্রথম ৬ ওভারের মধ্যে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান তুলে নেয় পাকিস্তান। কিন্তু ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় সপ্তম ওভারে গিয়ে। ওপেনার ওমাইর ইউসুফের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়া রোহাইল নাজিরকে সাজঘরে ফেরান ফরিদ আহমেদ। ১৫ বলে ১০ রানে থামে তার ইনিংস। পরের ওভারে ওমাইরকে সাজঘরের পথ দেখান কাইস আহমেদ। ১৯ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ রানে থামে তার ইনিংস।
এরপর জহির খান, করিম জানাত ও কাইসদের নৈপুণ্যে একে একে সাজঘরের পথ ধরেন হায়দার আলী (২), কাসিম আকরাম (৯), খুশদিল শাহ (৮) ও আসিফ আলী (৮)। অষ্টম উইকেটে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন আরাফাত মিনহাস ও আমের জামাল। তাদের জুটিতে আসে ২৭ রান। তাতে পাকিস্তানের সংগ্রহটা কোনোরকম শতরান পেরিয়ে যায়। মিনহাস ১৪ বলে ১৩ ও জামাল ১১ বলে ১৪ রান করে আউট হন। ১৮ ওভারে ১১৫ রানে থামে পাকিস্তান। ফরিদ আহমেদ ১৫ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন। জোড়া উইকেট নেন কাইস ও জহির।
জবাব দিতে নেমে অবশ্য শুরুতে ধাক্কা খেয়েছিল আফগানরা। দলীয় ৯ রানেই ওপেনার সেদিকুল্লাহ আতালকে হারায় তারা। পঞ্চম ওভারে আক্রমণে এসে আরাফাত মিনহাস সাজঘরে ফেরান মোহাম্মদ শেহজাদ (৯) ও শহিদুল্লাহকে (০)। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে দলের আধিপত্য বজায় রাখেন নুর আলী জাদরান। তিনি থামেন ইনিংসের ১২তম ওভারে, দলীয় ৭১ রানে। ৩৩ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান।
পরের ওভারে উসমান কাদির আক্রমণে এসে আফসার জাজাইকে সাজঘরে ফেরালে কিছুটা চাপে পড়ে আফগানরা। ২১ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান। তবে শেষদিকে গুলবাদিনের ১৯ বলে ২৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে ১৩ বল আগেই জয় নিশ্চিত করে নেয় আফগানিস্তান। তাতে তারা পেয়ে যায় এশিয়ান গেমসের ফাইনালের টিকিট।
স্বর্ণ পদকের লড়াইয়ে শনিবার (৬ অক্টোবর) ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত। প্রথম সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে পা রেখেছে ভারত।