আর্জেন্টাইন অধিনায়ক চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরা নিয়ে ছিল শঙ্কা। সেই শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে শুরুর একাদশে মাঠে না নামলেও দ্বিতীয়ার্ধে তাকে ঠিকই দেখা যায় বল পায়ে মাঠে। মেসি শুরুতে মাঠে না থাকলেও তার অভাবটা বুঝতে দেননি সতীর্থরা। শুরুতেই গোল দিয়ে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচে নিকোলাস ওতামেন্ডির একমাত্র গোলে জয় পায় আলবিসেলেস্তারা। এই জয়ে ২০২৬ দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের তিন ম্যাচে তিন জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
আর্জেন্টিনার এস্তাদিও মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় ভোর ৫ টায় মেসিদের বিপক্ষে মুখোমুখি হয় প্যারাগুয়ে। ম্যাচের আগের দিন মেসি শুরু একাদশে না থাকার শঙ্কা কথা জানান আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি। পায়ের ইনজুরি থেকে মেসি পুরোপুরি সেরে না উঠাই। লিওকে শুরুর একাদশের বাইরে রেখেই স্কালোনি দল সাজিয়েছিলেন।
শুরুতে উইঙ্গার নিকো গনজালেস, হুলিয়ান আলভারেজ ও লাউতারো মার্তিনেজদের নিয়ে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে আক্রমণ ভাগ সাজিয়েছিল আর্জেন্টাইন মাস্টার মাইন্ড। ঘরের মাঠে শুরু থেকে আধিপত্য দেখানো দলটি ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে ওতামেন্ডির দারুণ ভলিতে এগিয়েও যায়। এই ডিফেন্ডার স্কোরশিটে নাম তুললে আর্জেন্টিনা ১-০ গোলে এগিয়ে যায়।
বিরতির পর ৫৩ মিনিটে আলভারেজের বদলি হিসেবে মাঠে নামে মেসি। মাঠে নেমেই দলকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন এলএম টেন। সতীর্থদের জন্য বেশ কিছু সুযোগও তৈরি করেন তিনি। স্টপেজ টাইমে ফ্রি কিক থেকে তার এক শট গিয়ে আঘাত করে পোস্টে। যার জন্য মেসি এদিন গোল বঞ্চিত হন।
খেলা শেষে ব্যবধান আর না বাড়লেও এই জয়ে শেষ ৫০ ম্যাচে অসাধারণ রেকর্ড অক্ষুণ্ণ থাকলো আর্জেন্টিনার। যেখানে তাদের হার মাত্র একটিতে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা তিন ম্যাচে এখন পর্যন্ত বাছাইয়ে অর্জন করেছে ৯ পয়েন্ট। এতের তাদের চির-প্রতিন্দন্দ্বী ব্রাজিলকে সরিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থান দখল করেছে আর্জেন্টিনা। ১৭ অক্টোবর তাদের প্রতিপক্ষ পেরু।