লিওনেল মেসির স্বপ্ন ছিল বিশ্বকাপ জয়; যা পূরণ হয়েছে ২০২২ সালে কাতারে। ক্ষুদে জাদুকর উঁচিয়ে ধরেছিলেন বিশ্বকাপের ট্রফিটি। আর সেটা জয়ের পর নিজেই বলেছিলেন, এখন আর আমার কিছু চাওয়ার বা পাওয়ার নেই। বিশ্বকাপ পাওয়া মানে সব পাওয়া হয়ে গেছে। বিশ্বকাপের পর পিএসজি অধ্যায় শেষ করে পারি দেয় যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কারণও ব্যাখ্যা দেন তিনি, বলেন চাপ মুক্ত হয়ে খেলতে চান। কিন্তু এল এম টেন যে চাপমুক্ত হয়ে খেললেও মাঠে যে নিজের সেরাটা উজাড় করে দেন , তা বুঝে গেছে ইন্টার মায়ামি।
যে দলটি কখনই এর আগে শিরোপা জিততে পারেনি, তারাই মেসি আসার এক মাসের ভিতর জিতলেন লিগ কাপের শিরোপা। এরপর জিতলেন তো অষ্টম বারের মতো ব্যালন ডি’অর। আর এবার তো জিতলেন আরও একটি পুরস্কার। ২০২৩ মৌসুমে ইন্টার মায়ামির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন মেসি। ২০২৩ মৌসুমের ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার’ বা এমভিপি হিসেবে মেসির নাম ঘোষণা করেছে মায়ামি।
যদিও আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় হিসেবে মেসির এই অর্জন প্রথম নয়। এর আগে ইন্টার মায়ামির এমভিপি পুরস্কার জিতেছেন মেসির সাবেক আর্জেন্টাইন সতীর্থ গঞ্জালো হিগুয়েইন ও লুইস মরগান।
প্রসঙ্গত, পিএসজি ছেড়ে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়ে পরপর ১১ ম্যাচে জাদু দেখিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী তারকা লিওনেল মেসি। ক্লাবের হয়ে প্রথম ১৪ ম্যাচে করেছেন ১১ গোল, আরও ৮ গোলে আছে সহায়তা। মেসির এই নৈপুণ্যে ভর করে ইন্টার মায়ামি পেয়েছে নিজেদের ইতিহাসে প্রথম শিরোপা। মায়ামিকে লিগস কাপের সেই শিরোপা জিতিয়েছেন। যদিও ইউএস ওপেন কাপের ফাইনালটা জেতানো হয়নি তার। আবার মৌসুমের শেষদিকে ইনজুরির কারণেও অনেকগুলো ম্যাচ মিস করতে হয়েছে মেসিকে।