কাতার বিশ্বকাপ শুরুর প্রায় দুই মাস আগে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফাকে চিঠি দিয়েছিল ইংল্যান্ড-জার্মানিসহ সাত অংশগ্রহণকারী দল। তাদের চাওয়া ছিল সমকামীদের সমর্থনে ওয়ান লাভ আর্মব্যান্ড পরবে দলগুলোর অধিনায়ক। বিষয়টি নিয়ে কোনো প্রতিউত্তুর দেয়নি ফিফা। বিশ্বকাপ শুরুর একদিন আগে জানিয়ে দেয় ওয়ান লাভ আর্মব্যান্ড পরলে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে।
কাতারে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ সমকামীতা। বিষয়টি মোটেও ভালো চোখে দেখছে না পশ্চিমা বিশ্ব। এরই প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ওয়ান লাভ আর্মব্যান্ড পরে খেলতে নামার কথা ছিল ইংল্যান্ড, জার্মানি, বেলজিয়াম, ওয়েলস, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস ও সুইজারল্যান্ড অধিনায়কের।
তবে বিশ্বকাপ শুরুর একদিন আগে ফিফা জানায়, ওয়ান লাভ আর্মব্যান্ড পরলে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে। ঠিক কতদিনের জন্য নিষিদ্ধ করা হবে সেই বিষয়টি তখন নিশ্চিত করে জানায়নি ফিফা।
ইংল্যান্ড ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফএ’র প্রধান নির্বাহী মার্ক বেলিংহাম এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ওয়ান লাভ আর্মব্যান্ড পরলে অনির্দিষ্টকালীন সময়ের জন্য নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই কারণেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়িয়েছে দেশগুলো।
ফিফার এই সিদ্ধান্তের পর জার্মানি দল ম্যাচ শুরুর আগে টিম ফটোসেশনে মুখে হাত দিয়ে ছবি তুলে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। বিষয়টি এখনো কোনো ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি ফিফা।
বিশ্বকাপের মঞ্চে সমকামীদের সমর্থন করতে না পারলেও কাজ করে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে এফএ। বেলিংহাম জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে সবসময়ই সমকামীদের সমর্থন করবে এফএ।