ব্রাজিলিয়ান সাবেক ফুটবলার দানি আলভেসের বিরুদ্ধে ২০২২ সালে বার্সেলোনার এক নৈশ ক্লাবে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগের কারণে ৪০ বছর বসয়ী এই ফুটবলার বার্সেলোনার এক জেলে আটক রয়েছেন। আলভেসের সেই ধর্ষণ মামলা এখনো বহাল রয়েছে। এবার ব্রাজিলিয়ান এই সাবেক ফুটবলারের ৯ বছর কারাবাসের শাস্তি দাবি করেছেন স্পেনের কৌঁসুলিরা। সেই সঙ্গে ভুক্তভোগীর জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার ইউরো ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তারা।
গত বছর যে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে আলভেস আটক রয়েছেন সেই তরুণীকে তিনি চেনেন না বলে এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন। স্প্যানিশ টিভি চ্যানেল ‘অ্যান্টেনা থ্রি’কে আলভেজ সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “কাউকে বিরক্ত না করেই আমি নাচছিলাম এবং ভালোই লাগছিল। জানি না সে কে ছিল? একজন নারীর সঙ্গে আমি এটা কীভাবে করতে পারি।”
তবে ২০২২ সালের জুনে আরেক সাক্ষাৎকারে আলভেস বলেন, মেয়েটির সম্মতির ভিত্তিতেই তার সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটিয়েছেন। এ্ই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার বলেছিলেন, “সাটন নৈশ ক্লাবে সেদিন রাতে বাথরুমে যা ঘটেছিল তা নিয়ে আমি বিবেকের কাছে পরিষ্কার। যেটা ঘটেনি তা হলো, আমি সেই নারীর সঙ্গে জোর করে কিছু করেছি।” এরপর তিনি পড়ে জানান, সেই নারীকে না চেনার কথাটা মিথ্যা ছিল।
সাটন নৈশ ক্লাবে সেদিন যা যা ঘটেছিল তা নিয়ে অভিযোগপত্রে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন কৌঁসুলিরা। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নৈশ ক্লাবে সেই নারীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তাকে ছোট্ট একটি কক্ষে নিয়ে যান আলভেস। সেই নারী দাবি করেছিলেন, তিনি জানতেন না ওটা টয়লেট ছিল।
কক্ষের ভেতরে ঢোকার পরই আলভেসের আচরণে পরিবর্তন আসে। পরে ওই নারী বাধা দিলেও তার সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় কাটিয়েছেন বলে দাবি করা হয় অভিযোগপত্রে। গত বছর এ নিয়ে পাস হওয়া স্পেনের আইন অনুযায়ী, অনলাইনে যৌন নির্যাতন থেকে ধর্ষণ, এসব অপরাধের জন্য আলাদা শাস্তির বিধান রয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১৫ বছরের কারাবাসের শাস্তিও হতে পারে আলভেসের।