শেষ হওয়ার পথে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মূল মাঠের সংস্কারকাজ। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) চাইলে আগামী এক-দুই মাসের মধ্যেই ব্যবহার করতে পারবে মাঠ। বাফুফের কারণেই স্টেডিয়ামের কাজ শেষ করতে দেরি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেল। মাঠ সংকটের ব্যাপারে বাফুফে দুধরণের কথা বলছে বলেও জানান তিনি।
বাফুফে বলছে এক কথা, আর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বলছে অন্যকথা। কিছুদিন আগে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন গণমাধ্যমে মাঠ সংকটের কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু পুরো উল্টো কথা বলছে ক্রীড়া মন্ত্রনালয়। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলছেন বাফুফে যখন যেভাবে যা বলছে, যা চাচ্ছে মাঠের ব্যাপারে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) সেভাবেকই কাজ করছে।
রাসেল বলেন, ‘তারা মাঠের জন্য টাকা চেয়েছিল, আমি তাৎক্ষণিকভাবে সেটার ব্যবস্থা করেছি। এখন তারা আমার কাছে একরকম বলেন, আবার আপনাদের সামনে অন্য রকম বলে। এটা করে আমরা একসঙ্গে বসে কাজটা করতে পারি।’
২০১৯ সালে শুরু হয়েছিল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ। ৫ বছরে সবেমাত্র মাঠটুকুই প্রতিস্তু করতে পেরেছে এনএসসি, এখনো বাকি গ্যালারিসহ মাঠের অবকাঠামোর কাজ। তবে বাফুফে চাইলে এক-দুই মাসের মধ্যেই ব্যবহার করতে পারবে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম।
এ সম্পর্কে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ফ্লাড লাইট লাগানো হচ্ছিল, কিন্তু বাফুফে চাইল এলইডি লাইট। সে কারণেই কিন্তু দেরিটা হয়েছে। এর কারণে খরচও বেড়েছে।’
দেশের ঘরোয়া ফুটবলসহ আন্তর্জাতিক ফুটবলের বেশির ভাগ ম্যাচই হয় ঢাকাতে। তবে সব ম্যাচ ঢাকা কেন্দ্রিক না করে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগে করার পরামর্শ প্রতিমন্ত্রীর। যার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহয়তা করতে প্রস্তুত এনএসসি।