শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের নানা ক্ষেত্রে পরিবর্তন ও সংস্কার হচ্ছে। ক্রীড়াঙ্গনে প্রশাসনিক কাঠামোর অন্যতম স্তর জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা। বুধবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে দেশের সব জেলা, বিভাগ, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ও মহিলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি ভাঙার নির্দেশনা জারি করেছে।
ফেডারেশনের মতো জেলা-বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থায় নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ চার বছর। ফেডারেশনের নির্বাচিত কমিটি ভাঙলে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা থাকে। স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থা ভাঙা-গড়ার সম্পূর্ণ এখতিয়ার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার স্ব স্ব জেলা/বিভাগে স্বনামধন্য ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের নিয়ে অ্যাডহক কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই কমিটি গঠন করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অনুকূলে অনুমোদন নেওয়ার নির্দেশনাও রয়েছে।
ক্রীড়া প্রশাসনিক কাঠামোর সর্বনিম্ন স্তর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা। সেই উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি গঠনের ভার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) ওপর। এই কমিটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অনুমোদন প্রয়োজন নেই। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি জেলা প্রশাসকই এটি অনুমোদন করতে পারবেন। জেলা-বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা নির্বাচন হলেও মহিলা জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা বরাবরই অ্যাডহক কমিটিতে পরিচালিত হয়। সেখানে অ্যাডহক কমিটির পরিবর্তে আবার অ্যাডহক হবে।
জেলা-বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বড় প্রভাবক। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাসির জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের সভাপতি। নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু ভলিবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও সংগঠক পরিষদের মহাসচিব। ঢাকা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এমবি সাইফ সাঁতার ফেডারেশনের সেক্রেটারি। জেলা-বিভাগের সেক্রেটারিরা নিজেরা বিভিন্ন ফেডারেশনের শীর্ষ পদে থাকেন এবং অন্য ফেডারেশনের নির্বাচনেও ভূমিকা রাখেন। খেলার উন্নয়নের চেয়ে তাদের স্বার্থই বেশি দেখেন বলে ঘোর অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।