দানিল মেদভেদেভকে এক কথায় উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবারের মতো উইম্বলডনের ফাইনাল নিশ্চিত করেছেন কার্লোস আলকারাজ। অন্যদিকে সর্বোচ্চ গ্রান্ড স্ল্যাম ফাইনাল খেলতে যাচ্ছেন নোভাক জোকোভিচ।
রোববার (১৬ জুলাই) উইম্বলডনের ফাইনালে মুখোমুখি হবেন কার্লোস আলকারাজ ও নোভাক জোকোভিচ।
দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কার্লোস আলকারাজের সঙ্গে খেলতে নামেন দানিল মেদভেদেভ। রেঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা আলকারাজের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি রেঙ্কিংয়ে ৩ থাকা মেদভেদেভ। প্রথম সেট হেরে বসেন ৬-৩ গেমে। দ্বিতীয় সেটে হয়তো ঘুরে দাড়াঁবেন রাশিয়ান তারকা মেদভেদেভ। কিন্তু ব্যর্থ হন রেঙ্কিংয়ে ৩ থাকা এই তারকা। প্রথম সেটের মতো দ্বিতীয় সেটে হারেন ৬-৩ গেমে।
পরপর দুই সেটে জয় পাওয়া নাম্বার ওয়ান তারকা আলকারাজ তৃতীয় সেটটি জিতে নেন ৬-৩ গেমে। দারুণ ফর্মেই রয়েছেন, রেঙ্কিংয়েও এগিয়ে তারপরও আলকারাজ জানেন রোববারের ফাইনালে সবাই জোকোভিচকেই এগিয়ে রাখবে।
আলকারাজ বলেন, “আমরা সবাই জানি তিনি কিংবদন্তী। খুবই কঠিন হবে তার সঙ্গে ম্যাচটি। কিন্তু আমি লড়াই করব। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখব। আমি দেখেছি ২০১৩ সালের পর এই কোর্টে উনি অপরাজিত। খুবই কঠিন চ্যালেঞ্জ কিন্তু আমি প্রস্তুত।”
এদিকে, প্রথম সেমিফাইনালে জোকোভিচের প্রতিপক্ষ ইতালির ইয়ানিক সিনার। নাম্বার দুইয়ের সামনে প্রথম দুই সেটে পাত্তাই পাননি ইতালির ইয়ানিক। সার্বিয়ান তারকা সেট দুটি জিতে নেন ৬-৩ ও ৬-৪ গেমে।
৮এ থাকা ইয়ানিক প্রতিরোধ গড়ে তৃতীয় সেটে। ঘাম ঝড়ানো সেই সেটটি জকোভিচ জিতে নেন ৭-৬ গেমে। এই জয়ে জোকোভিচ ফ্রেঞ্চ ওপেনে ইতিহাস গড়েছেন। প্রথম পুরুষ তারকা হিসেবে এককে ২৩টি গ্র্যান্ডস্ল্যামের মালিক স্বপ্ন দেখছেন ২৪ এর। কিন্তু আলকারাজ এত সহজে সেটা হতে দেবেন না এটা ভালোই জানা জকোর। তিনি বলেন, “এখন ভয় পাওয়া বা ক্লান্ত হওয়ার সময়ও নয়। আমি এর জন্য লড়ব এবং দেখব কী হয়।”
সাধারণ দর্শকদের মতো জোকোভিচও আলকারাসে মুগ্ধ। সে দেখিয়েছে কেন পরবর্তী প্রজন্মের সেরাদের একজন সে এবং বর্তমানেও সেরাদের একজন। কিন্তু ফাইনালে এক বিন্দু ছাড় দেবেন না জোকোভিচ। ট্রফি না তোলা পর্যন্ত কাজ শেষ হবে না বলে জানান জোকোভিচ।