• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাংলাদেশের পর এবার শ্রীলঙ্কাও অনুশীলন বাতিল করল


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৩, ০৭:৫৯ পিএম
বাংলাদেশের পর এবার শ্রীলঙ্কাও অনুশীলন বাতিল করল
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ভারতের দিল্লি। রোববার (৬ নভেম্বর) দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অষ্টম ম্যাচ। টাইগারদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। দুই দলই বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরে অবস্থান করছে। এই শহরে বর্তমানে বায়ুদূষণের পরিমাণ এতোই বেড়ে গিয়েছে যে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশের পর শনিবার শ্রীলঙ্কাও অনুশীলন বাতিল করেছে।  

শনিবার দুপুরের পর অনুশীলন করার কথা ছিল লঙ্কানদের। কিন্তু দলীয় চিকিৎসকের পরামর্শে অনুশীলন বাতিল করে কুশল মেন্ডিসরা। তবে দিল্লির বাতাস বর্তমানে অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি। বাড়ির বাইরে বের হতে মাস্ক পড়াটা জরুরি স্থানীয়দের জন্য। মূলত পাঞ্জাবের কৃষকদের কারণে অক্টোবর-নভেম্বরে দিল্লির আকাশ আরো বেশি ভারি হয়। হাজার হাজার একর জমিতে নতুন বীজ বোনার আগে তারা পুরোনো ফসলের গোড়া পোড়ানো শুরু করেন। ধোঁয়ার সেই কুণ্ডলী ছড়িয়ে পড়েছে দিল্লির আকাশে। তাই নিশ্বাস নেওয়াটাও কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায় দিল্লির মানুষের জন্য।

দিল্লিতে শনিবার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৫০০ ছাড়িয়েছে। আইসিসি এক মুখপাত্র ইএসপিনক্রিকইনফোকে জানিয়েছেন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আইসিসি ও আমাদের আয়োজক বিসিসিআই অংশগ্রহণকারী সব দলগুলোকে গুরুত্বসহকারে দেখভাল করছে এবং দিল্লির বাতাসের মান পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য আমরা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছি।”

ভারতীয় সরকারি সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ট্র্যাকিং ওয়ার্নিং সিস্টেম জানায়, দিল্লির একিউআই স্কোর মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) পর্যন্ত তীব্র পর্যায়ে থাকবে। আর বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার ম্যাচ সোমবার। ম্যাচের মধ্যেও ক্রিকেটাররা সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই সোমবার ম্যাচের দিন ম্যাচ অফিসিয়ালরা বায়ু দূষণকে আবহাওয়ার মতোই বিবেচনা করবেন, এরপর সিদ্ধান্ত নেবেন কন্ডিশন খেলার জন্য উপযুক্ত কি না।

শুক্রবার অনুশীলন বাতিলের বিষয়ে বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন,  “আজকে (শুক্রবার) আমাদের ট্রেনিং ছিল কিন্তু কন্ডিশন গতকালকে (বৃহস্পতিবার) খারাপ হয়ে যায়। এজন্য আমরা ঝুঁকি নেইনি। কারণ আমাদের হাতে এখনও দুই দিন সময় আছে। গতকালকে কয়েকজন ক্রিকেটার বাইরে গিয়েছিল আর এখন তাদের কাশি হয়েছে। এখানে ঝুঁকির একটা ব্যাপার থাকে এজন্য আমরা ট্রেনিংটা বাদ দিয়েছি যেন কেউ অসুস্থ না হয়ে যায়।”

বাংলাদেশ টিম ডিরেক্টর আরও বলেন,“আমরা জানি না সিদ্ধান্ত কী হয় আর আবহাওয়া ভালো হয় কি না। যদি হয়, তাহলে তো আমাদের জন্য ভালো। আর যদি না হয়, আমাদের মানিয়ে নিয়ে কালকে অনুশীলন করতে হবে। কারণ ছয় তারিখ ম্যাচ, এখনও দুদিন আছে; আমরা চাই ছেলেরা পুরো ফিট থাকুক। কারণ পরের দুই ম্যাচ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”

Link copied!