বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজ একপ্রকার ভেস্তে গেছে। সিরিজের দুই ম্যাচই বৃষ্টির কবলে পড়ে পরিত্যক্ত। শেষ ম্যাচে লঙ্কানরা জয়ের হাসি হেসেছে। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেই শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির অসাধারণ ইনিংসে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ১ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয় পেয়েছে বাঘিনীরা।
টস জিতে শ্রীলঙ্কা প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। শুরুতেই আঘাত করে বাংলাদেশ। দলের ১৬ রানে ভিসমি গুনারত্নেকে ফেরায়। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটি বাংলাদেশের জন্য ভয়ংকর হয়ে ওঠার চেষ্টা করে। দলীয় ৬৪ রানে এই উইকেট জুটি ভাঙে বাংলাদেশ। অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তুও ৩৮ রানে বিদায় করে।
এরপর বাংলাদেশের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় হর্ষিতা মাদাভি দিসানায়েকে সমরবিক্রম। তার ৪৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংস দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাকে সুলতানা খাতুন ফিরিয়ে দলে স্বস্তি আনেন। নিলাক্ষ্মী ডি সিলভা এরপর দলের হাল ধরেন। তবে বাকি ব্যাটারদের সঙ্গ না পেয়ে তিনি হাত খুলে খেলতে পারেননি। তিনি শেষ পর্যন্ত ২৮ বলে ২৯* রানে অপরাজিত থাকেন।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানে থামে লঙ্কানদের ইনিংস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই খেই হারায় বাংলাদেশ। দলীয় মাত্র ৭ রানে শামিমা সুলতানার উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলের ২৩ রানে আরেক ওপেনার রুবায়া হায়দারকেও হারায় তারা। তবে সোবহানা মোস্তারি ও অধিনায়ক নিগার এরপর দেখে-শুনে খেলতে থাকেন। দলীয় ৭৪ রানে সোবহানা ১৭ রানে ফেরত যান।
এরপর রিতু মনিকে নিয়ে আগান নিগার। শেষ ৮ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১৮ রান। কঠিন ম্যাচটাকে সহজ করেন অধিনায়ক। প্রতিপক্ষের অধিনায়ক চামারিকে ছয় মারেন তিনি। পরের বলটাও সীমানার বাইরে। শেষ ওভারে খেললেন সুইপ শট। তাতেই অধরা জয় ধরা দিলো বাংলাদেশের কাছে।
মূলত নিগার নৈপুণ্যে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক ৫১ বলে ৭৫* রান করে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এই জয়ে দীর্ঘ ৯ বছর পর শ্রীলঙ্কাকে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শেষ ২০১৪ সালে জিতেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা।