নিজেদের শেষ চার ম্যাচের তিনটিতে জিতে উড়তে থাকা আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয় নেদারল্যান্ডস। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ডাচদের রান তুলায় বড্ড তাড়া। তাই তো দ্রুত রান নিতে গিয়ে ওদের টপ-অর্ডার ৪ ব্যাটার রান আউটে কাটা পড়েছেন। শেষপর্যন্ত অল-আউট হয়ে নেদারল্যান্ডসের ইনিংস থেমেছে ৩.৩ ওভার বাকি থাকতে ১৭৯ রানে গিয়ে। এতেই ম্যাচ জয়ের জন্য ডাচদের থেকে ১৮০ রানের সহজ লক্ষ্য পেয়েছে আফগানরা।
লক্ষ্মৌতে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে আফগানিস্তানকে প্রথম ওভারেই ব্রেক থ্রু এনে দেন স্পিনার মুজিব উর রাহমান। নেদারল্যান্ডস ওপেনার ওয়েসলি বারেসিকে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন তিনি। বারেসিকে ১ রানে প্যাভিলিয়ানের পথ দেখিয়ে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১০০তম উইকেট শিকার করে নেন।
ইনিংসের প্রথম ওভারে ৩ রানেই এক উইকেট হারানো নেদারল্যান্ডস দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। দ্বিতীয় উইকেটে ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউড ও কলিন অ্যাকারম্যান মিলে গড়েন ৭০ রানের জুটি। হাফ সেঞ্চুরির পথে ছিলেন ম্যাক্স। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ ২ রান নিতে গিয়ে ডিরেক্ট হিটে তার স্টাম্প ভাঙেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। রান আউটে কাটা পড়ার আগে ম্যাক্স ৪০ বলে ৯ চারে ৪২ রান করেন।
ম্যাক্সের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অভিজ্ঞ ব্যাটার কলিন অ্যাকারম্যান। তিনি ক্রিজে এসে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেনি। ইনিংসের ১৯তম ওভারের তৃতীয় বল মিড অফে ফিল্ডারের হাতে ঠেলে দিয়ে তিনি দৌড় দেন। এরপর রশিদ ও উইকেটকিপার ইকরাম আলিখিল মিলে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান ২৯ রানে থাকা অ্যাকারম্যানকে। এই ব্যাটারের আউটের ১ বল পরেই আবারও রান আউট। এবার ডাচ ব্যাটিং লাইন-আপের মূলস্তম্ভ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস রানের খাতা খোলার আগেই রান-আউটে কাটা পড়েন।
অধিনায়কের বিদায়ের পর বাস ডি লিডি ৩ রান করে ফিরে গিয়েছেন মোহম্মাদ নবির শিকার হয়ে। বাসের বিদায়ে ১০০ রানের আগেই ডাচরা হারায় পাঁচ উইকেট। তবে অপরপ্রান্তে তখনও লড়ছিলেন এঙ্গেলব্রেখ্ট। শেষ পর্যন্ত ৮৬ বলে ৬টি চারের বাউন্ডারিতে ৫৮ করে তিনিও রানআউট। এছাড়া তাদের আর কোনো ব্যাটারই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেনি। ফলে ৪৬.৩ ওভারেই ১৭৯ রানে থামে ডাচদের ইনিংস। আফগানদের হয়ে ২৮ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন নবি।