ইমার্জিং এশিয়া কাপে বাংলাদেশের দেওয়া ৩০৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে আফগানিস্তান ‘এ’ দল। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আফগানদের সংগ্রহ ৪৩.১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২২৪ রান।
ইমার্জিং এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের পর ওমানকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। গ্রুপ পর্বের তৃতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানকে বড় লক্ষ্য দিয়েছে টাইগাররা। সেমিফাইনালে যেতে হলে জয়ের বিকল্প নেই সাইফ হাসানের দলের সামনে।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) কলম্বোয় ইমার্জিং এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের বাঁচা-মরার লড়াইয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় টাইগাররা। মাহমুদুল হাসান জয়ের সেঞ্চুরিত ও জাকির হাসানের অর্ধশতকের ওপর ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে বাংলাদেশ। ছয় ওভার শেষ হবার আগেই তারা হারিয়ে ফেলেন তিন উইকেট। দলীয় ২৫ রানে তানজিদ হাসানের উইকেট দিয়ে শুরু প্যাভিলিয়নে ফেরার পালা। মোহাম্মদ সেলিমের বলে মাত্র ৯ রান করেই বিদায় নেন তিনি। এখানেও ব্যর্থ ব্যাট হাতে মোহাম্মদ নাঈম। ব্যক্তিগত ১৮ রানে যখন তিনি মোহাম্মদ সেলিমের দ্বিতীয় শিকার হন, তখন স্কোর বোর্ডে রান মাত্র ৩০। তার একই ওভারের পঞ্চম বলে ৩৪ রানের মাথায় অধিনায়ক সাইফ হাসানও ৪ রান করে বিদায় নিলে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
সেখান থেকে জাকির হাসানকে নিয়ে লড়াইটা শুরু করেন মাহমুদুল হাসান জয়।
ডানহাতি-বাঁহাতির চতুর্থ উইকেট জুটিতে আসে ১১৭ রান। শুরুর ধাক্কা সামলে দল পেয়ে যায় বড় সংগ্রহের ভিত। ইজহারুলহক নাভিদের বলে জুবাইদ আকবরির হাতে ক্যাচ দিয়ে জাকির হাসান প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলে ভেঙে যায় এই জুটি। ৭২ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৬২ রান করেন জাকির।
এরপর সৌম্য সরকারের সঙ্গে মিলে আরও ৭৯ রান যোগ করেন জয়। সৌম্য হাঁটছিলেন অর্ধশতক পূর্ণ করার দিকে। কিন্তু মোহাম্মদ ইব্রাহিমের বলে তিনি ফেরেন ৪২ বলে ৩ চার ও ৩ ছয়ে ৪৮ রান করে। এরপর জয়কে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ উইকেটকিপার আকবর আলি। করেন ৪ রান।
মাটি কামড়ে একপাশে আগলে রাখা মাহমুদুল হাসান জয় শতক পূর্ণ করেন ম্যাচের ৪৬তম ওভারে। কিন্তু শতক পূর্ণ করেই আর উইকেটে থাকতে পারেন নি তিনি। ঠিক ১০০ রানেই থেমেছেন মোহাম্মদ সেলিমের চতুর্থ শিকার হিসেবে। ১১৪ বলে ১২ চার ও ২ ছয়ে তিনি সাজিয়েছেন দারুণ ইনিংসটি।
জয় যখন আউট হন দলের স্কোর তখন ২৬৭। শেষ দিকে, ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন মেহেদী হাসান। মাত্র ১৯ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। সঙ্গী রাকিবুল হাসান ১২ বলে করেন ১৫ রান। শেষদিকে, ২২ বলে তাদের ৪১ রানের জুটির ওপর ভর করেই বাংলাদেশের স্কোর ৩০০ ছাড়ায়।
আফগানিস্তানের পক্ষে মোহাম্মদ সেলিম নেন ৪ উইকেট।