বিশ্বকাপে টানা দুই জয়ের পর হ্যাটট্রিক হারে ঘুরপাক খাচ্ছে পাকিস্তান। এবারের আসরে দুর্দান্ত শুরু করা বাবর আজমের দলকে সেমিফাইনালে ওঠতে হলে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। তাদের সেমির পথ কঠিন হয়েছে সবশেষ অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরে যাওয়াতে। পাকিস্তান দলের এই কঠিন সময়ে দেশটির সাবেক ক্রিকেটারদের তোপের মুখে পড়েছেন অধিনায়ক বাবর আজম। তার নেতৃত্ব নিয়েও তারা তুলছেন প্রশ্ন। এবার পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির জানালেন, অধিনায়ক বাবর সতীর্থ ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করতে পারছেন না।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যান ইন গ্রিনদের বড় ব্যবধানে হারের অন্যতম কারণ ফিল্ডারদের মিস ফিল্ডিং। এদিন বাবর, শাহীন শাহ আফ্রিদিরা ফিল্ডিং মিস না করলে হয়ত বা ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারতো। বাবরদের ফিল্ডিং নিয়ে আফ্রিদি সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সামা টিভির এক অনুষ্ঠানে। আফ্রিদি বলেন, “আপনি যখন ম্যাচে মনোযোগী হবেন না, তখন এই সমস্যাগুলো (ফিল্ডিং মিস করা) দেখা দেবে। আর আপনি যখন নিজেকে লুকোনোর চেষ্টা করবেন, ইতিবাচকভাবে ভাবতে পারেন না, তখন বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে ভাবতে থাকেন আরে, আমরা আফগানিস্তানের কাছেই হেরে যাচ্ছি। কোনো উইকেট পড়ছে না। অনেক সময় মনে হয় আমরা অলৌকিক কিছুর অপেক্ষায় থাকি। অলৌকিক কিছু এমনিতেই হয়ে যায় না। এটা ঘটে সাহসী মানুষদের সঙ্গে, যারা জানে কীভাবে লড়াই করতে হয়।”
পাকিস্তান সাবেক অধিনায়ক আরও বলেন, “আপনি যখন ম্যাচে মনোযোগী হবেন না, তখন এই সমস্যাগুলো (ফিল্ডিং মিস করা) দেখা দেবে। আর আপনি যখন নিজেকে লুকোনোর চেষ্টা করবেন, ইতিবাচকভাবে ভাবতে পারেন না, তখন বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে ভাবতে থাকেন আরে, আমরা আফগানিস্তানের কাছেই হেরে যাচ্ছি। কোনো উইকেট পড়ছে না। অনেক সময় মনে হয় আমরা অলৌকিক কিছুর অপেক্ষায় থাকি। অলৌকিক কিছু এমনিতেই হয়ে যায় না। এটা ঘটে সাহসী মানুষদের সঙ্গে, যারা জানে কীভাবে লড়াই করতে হয়।”
পাকিস্তান দলে যখন খেলেছেন এবং দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সেই প্রসঙ্গ টেনেছেন আফ্রিদি। তিনি জানান দলকে উজ্জীবিত রাখতে প্রধান ভূমিকা রাখে অধিনায়ক। বুমবুম বলেন, “আমি বা মোহাম্মদ ইউসুফ যখন অধিনায়ক ছিলাম, আমরা যখন উজ্জীবিত থাকতাম, তখন দলও জেগে উঠত। অধিনায়ক কিছু না করলে গোটা দল কিছু করবে না। যদি ইনজি ভাই (ইনজামাম উল হক) ডাইভ মারত তবে আমাদের লজ্জা লাগত। আরে, অধিনায়ক ডাইভ মারছেন, আমরা কেন মারব না! তাই ঘুরেফিরে সব অধিনায়কের ওপরই আসবে।”