অর্থ জালিয়াতি এবং মিথ্যাচারসহ ফিফার অন্তত চারটি আইন লঙ্ঘন করায় সব ধরণের ফুটবল কার্যক্রম থেকে আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে ফিফা। পরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) তদন্ত করে তাকে আজীবন নিষিদ্ধ করে। এবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মুখোমুখি হয়েছেন সোহাগ।
আজ (৮ আগস্ট) মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বেলা সোয়া ১১টায় সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সংস্থাটির অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. ইয়াছির আরাফাত । জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোহাগ বলেন, “এখানে স্বীকার অস্বীকারের কিছু নাই। এখানে বিষয়টা হচ্ছে তাদেরকে সহযোগিতা করা। সেই কাজটাই আমি করতেছি। আমি প্রেঅ্যাক্টিভলি এসেছি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আবার প্রয়োজন হলে আসবো, কথা বলবো। ”
আর্থিক দুর্নীতির কথা মানতে নারাজ সোহাগ। তার বিরুদ্ধে ফিফার অভিযোগ নিয়ে ইতোমধ্যেই উচ্চ ক্রীড়া আদলতে আপিল করেছেন তিনি। সোহাগ বলেন, “ ফিফা এবং বাফুফে কেউই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। নৈতিকতার কিছু বিষয়ে তাদের অভিযোগ ছিল। সেই বিষয়ে আমি কোর্ট অব অরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসে আপিল করেছি। সেটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমার আইনজীবিরা এটা নিয়ে কাজ করছে। সময়ই সব বলে দেবে। আমার এর বেশি কিছু বলার অনুমতি নেই এখন।”
এর আগে গত ৩০ জুলাই তদন্ত শেষে বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাক আবু নাঈম সোহাগকে আজীবন নিষিদ্ধের সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় বাফুফের গঠিত তদন্ত কমিটি। এই ঘটনার শুরু হয়েছিল ১৪ এপ্রিল ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা থেকে আর্থিক দণ্ড ও নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরে।
চলতি বছরের মে মাসে হাইকোর্টের নির্দেশে বাফুফে সরকারের দেয়া অর্থ নিয়ে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। সোহাগ ছাড়াও দুদকের অনুসন্ধানে রয়েছেন বাফুফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন ও সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী।