১০০ ওভারের ম্যাচ শেষ ৩৩ ওভারেই। তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে দাপুটে জয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) শিরোপা ধরে রাখার পথে আরও এগিয়ে গেল অপ্রতিরোধ্য আবাহনী লিমিটেড।
অথচ ম্যাচটিকে ঘিরে উত্তেজনা ছিল যথেষ্টই। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর সঙ্গে রানার্স-আপ শেখ জামালের লড়াই বলেই এতো আলোচনা। কিন্তু বিধ্বংসী বোলিংয়ের পর দাপুটে ব্যাটিংয়ে ১০ উইকেটের জয়ে অপরাজিতই থাকলো আবাহনী।
মিরপুর শেরে বাংলায় বৃহস্পতিবার শেখ জামালকে স্রেফ ৮৮ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে রান তাড়ায় ১০.২ ওভারে ম্যাচ জিতে যায় আবাহনী।
শেখ জামালের টপ-অর্ডারে ধস নামান তিন পেসার শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান। পরে দ্বিতীয় স্পেলে নিচের দিকেও তোপ দাগান শরিফুল। ৩৫ রানে ৪ উইকেট নেন তরুণ এই বাঁহাতি পেসার।
সকালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারায় শেখ জামাল। তৃতীয় ওভারে সাইফ হাসানকে ফেরান শরিফুল। সপ্তম ওভারে ভেতরে ঢোকানো ডেলিভারিতে বাঁহাতি এই পেসার বোল্ড করেন রবিউল ইসলামকে। একাদশ ওভারে ফজলে মাহমুদকে বোল্ড করেন তাসকিন। পরের ওভারে দলের সৈকত আলিকে ফেরান তানজিম। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের ২৩ রানই হয়ে থাকে দলের সর্বোচ্চ। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ফেরেন শুন্য রানে। ইয়াসির আলি চৌধুরি ১৭ রান করে আউট হন।
৮৯ রানের লক্ষ্যে আবাহনীকে দ্রুতই পৌঁছে দেন নাঈম ও এনামুল। ৪০ বলে ৫৩ রান করেন নাঈম। চলতি লিগে পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি ৮ চার ও ২ ছক্কায়। এনামুল ৩টি করে চার-ছক্কায় তিনি অপরাজিত থাকেন ২২ বলে ৩৭ রান করে।
১১ ম্যাচের সবকটি জিতে পূর্ণ ২২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে আবাহনী। শেখ জামালের ১৬ পয়েন্ট। সুপার লিগে ৩টি জয় পেলেই শিরোপা নিশ্চিত করবে আবাহনী।