• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নারী ফুটবলে সাফল্যের একটি বছর


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম
নারী ফুটবলে সাফল্যের একটি বছর
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি নিয়ে উল্লসিত বাংলাদেশ দল। ছবি: সংগৃহীত

সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দ্বিতীয়বার অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাসের পাতায় সোনার হরফে নিজেদের নাম লিখেছেন সাবিনা খাতুন, মনিকা চাকমা, ঋতুপর্ণা চাকমারা। গত ৩০ অক্টোবর সপ্তম নারী সাফের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে অবিস্মরণীয় শিরোপা জয়ের গৌরবে ভেসেছে বাংলাদেশ।

এর আগে ২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আগের সাফের ফাইনালেও এই নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার বাংলার মেয়েরা প্রথম জয়ের স্বাদ পায়। এবার একই প্রতিপক্ষকে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখার দারুণ কীর্তি গড়েছেন বাংলার অদম্য মেয়েরা।

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল বছরটা শুরু করেছিল হার দিয়ে। চাইনিজ তাইপে’র বিপক্ষে হারে ৪-০ গোলের ব্যবধানে। জুলাই মাসে ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত, ২৪ জুলাই সেই ম্যাচে ভুটানকে উড়িয়ে দিল ৫-১ গোলে। পুরো বছরে বাংলাদেশ নারী দল ম্যাচ খেলেছে মোট ৮টি। তার মধ্যে চাইনিজ তাইপে’র বিপক্ষে দুটি ম্যাচ ছাড়া আর কোনও ম্যাচে হারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শুধু একটি ম্যাচ তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্র করেছিল। বাকি সবগুলোতেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।

চলতি বছর সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথ চ্যাম্পিয়ন হয়। ৮ ফেব্রুয়ারি টুর্নামেন্টের ফাইনাল ১-১ গোলে ড্র হয় এবং পেনাল্টি শুট-আউটও ১১-১১ গোলে সমতায় শেষ হয়। পরে দুই দলকেই যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।

নেপালে মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবলে অপরাজিত শিরোপা লাভ করে বাংলাদেশ। ফাইনালে ভারতকে ট্রাইব্রেকারে ৩-২ গোলে পরাজিত করে বাংলাদেশ। পুরো টুর্নামেন্ট-জুড়েই বাংলাদেশের নারীরা দারুণ খেলেছে। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের মধ্য দিয়ে বাঘিনীরা তাদের সক্ষমতা আবারো প্রমাণ করেছে। উল্লেখ্য, সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবলে নেপালকে ২-০, ভারতকে ৩-১ এবং ভুটানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ।

এএফসি ওমেন্স চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলেন বাংলাদেশের চার নারী ফুটবলার। যা নারী ফুটবলের একটি বিশাল মাইলফলক। আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) অধীনে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হয় নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। টুর্নামেন্টটিতে অংশ নিতে পারেনি বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস নারী ফুটবল দল (বাফুফের গাফিলতায়)। তারপরও এই লিগে বাংলাদেশের চার নারী ফুটবলার খেলেন (সাবিনা খাতুন, মনিকা চাকমা, ঋতুপর্ণা  চাকমা এবং মারিয়া মান্দা) ভুটানের ক্লাব রয়্যাল থিম্পু কলেজ এফসির হয়ে।

খেলা বিভাগের আরো খবর

Link copied!