প্রথম ম্যাচে দারুণ জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচেই থমকে গেলেন নাডা হাফেজ। তার তৃতীয় অলিম্পিক অভিযান শেষ হয়ে গেল দুই ম্যাচেই। তবে আসল চমক উপহার দিলেন তিনি বাদ পড়ার পর। মিশরের এই নারী ফেন্সার যা জানালেন, তাতে আসলে সব ফলাফল ছাপিয়ে জিতে গেছেন আগেই। এবারের অলিম্পিকের লড়াইয়ে নেমেছিলেন তিনি সাত মাসের গর্ভাবস্থায়!
২০১৬ ও ২০২০ অলিম্পিকের অংশ নেওয়ার ধারাবাহিকতায় এবার প্যারিসেও আসেন নাডা। র্যাঙ্কিংয়ে ৪১ নম্বরে থাকা এই ফেন্সার প্রথম ম্যাচে হারিয়ে দেন সাত নম্বর থাকা যুক্তরাষ্ট্রের এলিজাবেথ তারতাকোভস্কিকে। পরে শেষ ষোলোতে তিনি হেরে যান কোরিয়ার জন হাইয়ংয়ের কাছে।
প্রথম ম্যাচে জয়ের পর খ্যাপাটে উদযাপনে মেতে ওঠেন নাডা। তার চোখে ছিল পানি। বিদায়ের পর দর্শকদের দিকে আবেগময় ভঙ্গিতে হাত নাড়েন তিনি।
সেসবের কারণ বোঝা যায় পরে। সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে তিনি চমকে দেন গোটা বিশ্বকেই।
‘পোডিয়ামে আপনারা দুজন খেলোয়াড়কে দেখলেও আসলে ছিল তিনজন! আমি, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ও পৃথিবীতে আসার অপেক্ষায় থাকা আমার ছোট্ট বাচ্চা!’
‘শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিতে পেরে নিজের দারুণ গর্বের কথা জানাতে পোস্ট লিখছি। এবারের অলিম্পিক আমার জন্য আলাদা। আমি তিনবারের অলিম্পিয়ান, কিন্তু এবার বয়ে নিয়েছি ছোট্ট এক অলিম্পিয়ানকেও!’
২৬ বছর বয়সী এই ফেন্সার বলেন, নিজ দেশের নারীদের উজ্জীবিত করতেই নিজের কথা সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি।
‘আমার বাচ্চাও আমার নিজের বেশ চ্যালেঞ্জ পার হতে হয়েছে, শারীরিক ও মানসিক, দুটোই। তবে মিশরের নারী হিসেবে আমাদের শক্তি ও অধ্যাবসায় তুলে ধরতে চেয়েছি আমি। আমি সৌভাগ্যবান, আমার সঙ্গী (স্বামী ইব্রাহিম ইহাব) ও পরিবারের বিশ্বাস পেয়েছি বলে এতদূর আসতে পেরেছি।’