চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বার বার আলোচনায় নিউইয়র্কের পিচ। যে পিচে রান করাই কঠিন। ভারত ১১৯ রানের বেশি করতে পারেনি। সেই রান তাড়া করে আবার জিততে পারেনি পাকিস্তান। বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে বড় রান ওঠেনি। পিচের জন্য এখন যুক্তরাষ্ট্র থেকেই পালাতে চাইছেন হেনরিখ ক্লাসেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার মনে করেন নিউইয়র্কের পিচ বোলারদের সাহায্য করছে। তিনি বলেন, ‘সব ব্যাটাররা এখান থেকে পালাতে চাইবে। বোলাররা যদিও থাকতে চাইবে। তবে আমরা আমাদের কাজ করে দিয়েছি। এখানে তিনটি ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই জিতেছি। খুব কঠিন কাজ ছিল।’
এমন পিচেও ৪৬ রান করা ক্লাসেন বুঝিয়ে দিলেন কীভাবে খেলতে হয়। সোমবার ৪৪ বলে ওই রান করেন ক্লাসেন। তার ব্যাটে ভর করেই ১১৩ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। পাওয়ার প্লে-তে ২৩ রানে ৪ উইকেট চলে গিয়েছিল তাদের। সেখান থেকে দক্ষিণ আফ্রিকাকে লড়াই করার মতো স্কোরে পৌঁছে দেন ক্লাসেনই।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ডেভিড মিলার আগের ম্যাচে দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে এই পিচে খেলা উচিত। এক দিনের ক্রিকেটের মতো করে খেলতে হবে। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার মতো মানসিকতা নিয়ে খেললে হবে না এখানে। ক্রিজে থিতু হওয়ার পর বল প্রতি রান করার চেষ্টা করতে হবে। এর মাঝে একটা, দুটো বলে বড় শট খেলার সুযোগ পাওয়া যাবেই। তখন স্ট্রাইক রেট বেড়ে যাবে।’
ক্লাসেন বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখেছি। দুটো বড় দলও বেশি রান করতে পারেনি। এটাই প্রমাণ করে যে আমাদের মানসিকতা বদলাতে হবে। মাঠে নেমেই বড় শট খেলতে গেলে হবে না। আমরা তাই ৫০ ওভারের ক্রিকেট খেলার মানসিকতা নিয়ে খেলছিলাম। তবে শেষ তিন ওভারে টি-টোয়েন্টির মতো করে খেলেছি।’