চ্যাম্পিয়নস লিগে গতরাতটা পিএসজি সমর্থকদের জন্য দুঃস্বপ্নের গিয়েছে। এই বিভীষিকাময় রাতে ইংলিশ ফুটবল ক্লাব নিউক্যাসেল ইউনাইটেড প্যারিসের ক্লাবটার জালে গুণে গুণে দিয়েছে এক হালি গোল। বিপরিতে কিলিয়ান এমবাপ্পেরা ফিরিয়ে দিতে পেরেছে সবেমাত্র এক গোল। এতেই চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপপর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউক্যাসেলের বিপক্ষে ৪-১ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় শিরোপার অন্যতম দাবিদার পিএসজিকে।
এই ম্যাচ দিয়ে ২০ বছর পর ঘরের মাঠ সেইন্ট জেমস পার্কে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলতে নেমেছিল নিউক্যাসল ইউনাইটেড। ভাল কিছুর পরিকল্পনা নিয়েই এগিয়েছিল তারা। কিন্তু মাঠে নেমে যা হলো, তা এককথায় অবিশ্বাস্য। ঘরের মাঠে ফরাসি ক্লাব পিএসজিকে পেয়ে গোলে উৎসবে মেতে উঠে তারা। ইংলিশ ক্লাবটির হয়ে গোল করেছেন মিগেল আলমিরন, ড্যান বার্ন, সিন লংস্টাফ, ফ্যাবিয়ান স্কার। পিএসজির হয়ে একমাত্র গোলটি করেন লুকাস হার্নান্দেজ।
নিউক্যাসেলের হয়ে গোলের শুরু করেছিলেন মিগেল আলমিরন। ১৭ মিনিটে তার দুর্দান্ত শট ফাঁকি দেয় পিএসজি গোলরক্ষককে। ঠিক ১৭ মিনিট পর আরও এক গোল পিএসজির জালে। এবার স্কোরশিটে নাম লেখান ড্যানিয়েল বার্ন। ব্রুনো গিমেরেসের ক্রসে তার হেড থেকে দুই গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ম্যাগপাইরা।
বিরতি থেকে ফিরে একই আক্রমণের ধার ধরে রাখে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামার ৫ মিনিট পরেই তৃতীয় গোল হজম করে ফরাসি ক্লাবটা। লংস্টাফ গোলে ৩-০ গোলের লিড নিয়ে উৎসবে ফেটে পড়ে সেইন্ট জেমস পার্কে নিউক্যাসেলের সমর্থকরা। তখনই অন্যপাশে বিবর্ণ কোলো মুয়ানি, এমবাপ্পে, ওসমান ডেম্বেলে আর গঞ্জালো রামোসের গড়া আক্রমণভাগ। নিউক্যাসেলের রক্ষণদূর্গ ভাঙা যেন অসম্ভব তাদের জন্য। ৩ গোলে পিছিয়ে থাকার পর লেফটব্যাক লুকাস হার্নান্দেজ গোল করলে কিছুটা স্বস্তি আসে পিএসজি শিবিরে। তবে অতিরিক্ত সময়ে স্কারের দূরপাল্লার শট ৪ গোলের লজ্জা দেয় পিএসজিকে।
চ্যাম্পিয়নস লিগ নিউক্যাসেল ও পিএসজির একই গ্রুপে রয়েছে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও ইতালির ক্লাব এসি মিলান। এই দুই দলেরও ম্যাচ ছিল বুধবার (৪ অক্টোবর) রাতে। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে রুখে দিয়েছে এসি মিলান। এই দুই জায়ান্টের ম্যাচ শেষ হয় গোল শূন্য ড্র’তে থেকে।
চ্যাম্পিয়নস লিগের দুই রাউন্ড পর গ্রুপ এফে শীর্ষে নিউক্যাসল। আগের ম্যাচে এসি মিলানের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছিল তারা। এক জয় ও এক ড্র‘তে ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট তাদের। এক জয় ও এক হারে পিএসজির পয়েন্ট তিন। তারা আছে পয়েন্ট তালিকার দুই নম্বরে। আর মিলান ২ ড্র ‘তে ২ পয়েন্ট নিয়ে আছে তালিকার তিন নম্বরে। অন্যদিকে এক হার ও এক ড্র’তে পয়েন্ট তালিতার সবার শেষে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।