স্বপ্নের বোলিং স্পেল ৪-০-১৯-৭। ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে দুর্বার রাজশাহীর পেস আক্রমণে তাসকিন আহমেদ আক্ষরিক অর্থেই হয়ে উঠেছিলেন দুর্বার। প্রথমে ব্যাট করা ঢাকার স্কোরবোর্ডে ৯ উইকেটে ১৭৪ রান উঠলেও দিনশেষে আলোচনার কেন্দ্রে থাকবেন তাসকিনই। মাত্র ১৯ রানে নিয়েছেন ৭ উইকেট।
তাতে বিপিএলের ইতিহাসে নতুন করে লেখা হলো এই পেসারের নাম। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ১১ আসরের ইতিহাসে এটাই এখন সেরা স্পেল। পেছনে ফেলেছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমিরের ১৭ রানে ৬ উইকেট নেয়ার কীর্তিকে। নিজের দ্বিতীয় ফাইফারের দিনে তাসকিন বদলালেন ইতিহাস। সেইসঙ্গে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি উইকেট লাভের বিশ্বরেকর্ডধারীও এখন তাসকিন।
যদিও এই রেকর্ডে তিনি শীর্ষে আছেন যৌথভাবে। এর আগে মালয়েশিয়ার সাজরুল ইদ্রুস চীনের বিপক্ষে ৮ রানের খরচায় নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। ভাইটালিটি ব্লাস্টের ম্যাচে লেস্টারের বোলার কলিন অ্যাকারম্যান বার্মিংহামের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ১৮ রানের খরচায় ৭ উইকেট। এদের পাশে ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় বোলার হিসেবে এক টি-টোয়েন্টি ইনিংসে ৭ উইকেট নেয়ার কীর্তি এখন বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদের।
শুরুটা করেছিলেন লিটনকে দিয়ে। ৫ বলে শূন্য রান করে ক্যাচ দিয়েছিলেন ইয়াসির আলী রাব্বির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। এরপর তাসকিন ফেরান তানজিদ হাসান তামিমকে। পরে তার বলে আউট হন শাহাদত হোসেন, চতুরঙ্গা ডি সিলভা, আলাউদ্দিন বাবু, মুকিদুল ইসলাম ও শুভাম রাঞ্জনি।