প্রিয়াংশ আর্য। চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে মাত্র ৩৯ বলে সেঞ্চুরি করেছেন পাঞ্জাবের তরুণ এই ক্রিকেটার, যা বলের হিসেবে আইপিএল চতুর্থ দ্রুততম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক না হওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে তার সেঞ্চুরিই এখন আইপিএলে দ্রুততম।
সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন ছিল না।
আর্যর উত্থানটা হঠাৎ করেই। এখন পর্যন্ত কোনো প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেননি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ম্যাচ খেলেছেন ৭টি। এই ৭ ম্যাচে সব মিলিয়ে রান করেছেন আবার ৭৭।
বাঁহাতি এই ওপেনার চোখে পড়েন গত বছরের আগস্টে দিল্লি প্রিমিয়ার লিগের পারফরম্যান্স দিয়ে। সেই টুর্নামেন্টের একটি ম্যাচে সাউথ দিল্লির হয়ে নর্থ দিল্লির বিপক্ষে বাঁহাতি স্পিনার মনন ভরদ্বাজের বলে ৬ বলে ৬টি ছক্কা মারেন।
টুর্নামেন্টে ১০ ইনিংস সর্বোচ্চ ৬০৮ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার। স্ট্রাইকরেট ছিল ১৯৮.৬৯। ১০ ইনিংসের মধ্যে ৪টিতে করেন ফিফটি, দুটিতে সেঞ্চুরি। ১০ ইনিংসে ছক্কা মারেন ৪৩টি।
এরপর মুশতাক আলী ট্রফি। দিল্লির হয়ে এই টুর্নামেন্টে নিলামের ঠিক আগের দিন ৪৩ বলে ১০২ রান করেন আর্য। এই ম্যাচে তাঁর প্রতিপক্ষ দলে ছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার ও পীযূষ চাওলার মতো বোলার।
এ কারণেই মাত্র ৩০ লাখ ভিত্তিমূল্যের এই ক্রিকেটারের নিলামে দাম ওঠে ৩ কোটি ৮০ লাখ রুপি, যা এবারের আইপিএল অ্যানক্যাপড ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। দিল্লি ক্যাপিটালস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সঙ্গে লড়াই করে তাঁকে দলে নেয় পাঞ্জাব কিংস। সেই লড়াইয়ে জেতার সুফলই পাঞ্জাব পেল গতকাল।
আইপিএলে ঝোড়ো ইনিংস নতুন কিছু নয়। রান উৎসবের টুর্নামেন্টে হয়তো এটিই স্বাভাবিক। তবে এরপরও আর্যর ইনিংসটির গুরুত্ব আলাদা। তাঁর দল পাঞ্জাব যে ৮৩ রান তুলতেই হারিয়েছিল ৫ উইকেট। সেই পাঁচ ব্যাটসম্যানের কেউই দুই অঙ্কও ছুঁতে পারেননি।
আবার প্রতিপক্ষ দলে উইকেটের পেছনে ছিলেন এমএস ধোনি। বল হাতে ছিলেন মাতিশা পাতিরানা, নুর আহমেদ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজারা। এমন বোলিং আক্রমণের বিপক্ষেই নিজের মতো করে ব্যাটিং করে গেছেন আর্য। ইনিংসের ১৩তম ওভারে পাতিরানার বলে মেরেছেন টানা ৩ ছক্কা ও একটি চার।
যে চার তাঁকে নিয়ে যায় তিন অঙ্কের ঘরে! আর্যর টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছেন ৪টি। কাল সেঞ্চুরির আগে অনেকটা নিশ্চুপই ছিলেন। আইপিএল অভিষেকে ৪৭ রান করার পর পরের দুই ম্যাচে আউট হন ৮ ও ০ রানে। ৩ ম্যাচে ছক্কা মেরেছিলেন মাত্র ২টি। সেটাই কাল পুষিয়ে দিয়েছেন ৯টি ছক্কা মেরে।