এশিয়া কাপের সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হেরে ভারতের আর অপরাজিত থাকা হলো না। ম্যান ইন ব্লুরা শেষ চারের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে রেখেছিল। আর অন্যদিকে বাংলাদেশ প্রথম দুই ম্যাচ হেরে দেশে ফেরার টিকিট নিশ্চিত করে রেখেছিল। তাই বাংলাদেশ বনাম ভারতের ম্যাচটা ছিল শুধুই নিয়মরক্ষার ম্যাচ। সে জন্য দুই দলই বড় পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামেন। রোহিত শর্মারা তো আগের ম্যাচে খেলা পাঁচ ক্রিকেটারকে বিশ্রামে দিয়ে মাঠে নেমেছিল। এমন সিদ্ধান্তকে ম্যাচ হারের জন্য কাঠগড়ায় তুলেছেন অনেকেই। তবে ভারতীয় অধিনায়ক ম্যাচ হারের পর এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
বিশ্বকাপের আগে যারা দলের ভাবনায় আছেন তাদের পরখ করে নিতেই ৫ ক্রিকেটারকে বসিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মারা। ভারতীয় অধিনায়ক বলেন, “যারা এই আসরে এখন পর্যন্ত খেলেনি তাদের কিছুটা সময় দিতে চেয়েছিলাম। দলের বৃহত্তর স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনের জন্যে ওদের তৈরি করে দিতে চাই। অনেকেরই বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের প্রস্তুত করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু খেলার মানের সঙ্গে কোনো আপস করতে চাইনি।”
কলম্বোর প্রেমাদাসার উইকেট বোলারবান্ধব। এখানে বোলাররাই বেশি সুবিধা পেয়ে থাকেন। বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপও শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেশ চাপেই রেখেছে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। সাকিব-মুস্তাফিজদের ভারতের টপ অর্ডাররা ব্যাটাররা খেলতে না পারলেও এদিন ব্যতিক্রম ছিলেন ওপেনার শুবমান গিল। ভারতীয় অধিনায়কের মুখেও তাই গিলের প্রশংসায় ঝরেছে। রোহিত বলেন, “অসাধারণ ব্যাট করেছে শুবমান। নিজের খেলার প্রতি ওর আত্মবিশ্বাস অন্য পর্যায়ের। সে কীভাবে খেলতে চায়, সেটা খুব ভালো করেই জানে। দলের হয়ে ওকে কী করতে হবে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রয়েছে। গত বছরে ওর ফর্মের দিকে একবার তাকান। নতুন বলে বেশ ভালো দেখিয়েছে ওকে।”
শুক্রবারের ম্যাচে বাংলাদেশের বোলারদের পরীক্ষা নিয়েছেন অক্ষর প্যাটেল। তার ৩৪ বলে ৪২ রানের ইনিংসের কারণে টাইগারদের ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই বাংলাদেশের বোলারদের প্রশংসার পাশাপাশি অক্ষর প্যাটেলের ব্যাপারে কথা বলতে ভোলেননি ভারতীয় অধিনায়ক। রোহিত বলেন, “বাংলাদেশের বোলাররা দারুণ বল করেছে। খুবই নিয়ন্ত্রিত বোলিং। আক্রমণের সুযোগ পাইনি। তার মধ্যে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে অক্ষর। ওর দৃঢ়তা সম্পর্কে দলের সবাই জানি।”