মানুষ মাত্রই ভুল। কিন্তু বিশ্বকাপের আসরে এতো বড় ভুল কি মানা যায়। মাঠে বিশাল ভুল করে বসলেন ফিল্ড আম্পায়াররা। প্রশ্ন জাগে আম্পায়ারদেরও ভুল হয়! আর সেই ভুল বিস্ময় জাগিয়ে তোলে। এই যেমন আজ বিশ্বকাপে পাকিস্তান-নেদারল্যান্ডস ম্যাচে। যেখানে পাঁচ বলেই ওভার ঘোষণা করেন অন-ফিল্ড আম্পায়াররা। সাধারণত এক ওভারে ছয়টি বল হয়ে থাকে। কিন্তু এমন ভুলটি ঘটল ম্যাচের ১৪তম ওভারে।
হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় নেদারল্যান্ডস। অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল হলেও শুরুতে বেশ দারুণ করে ডাচ বোলাররা। মাত্র ৩৮ রানেই সাজঘরে ফেরায় পাকিস্তানের প্রথম তিন ব্যাটারকে।
সাউদ শাকিল ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে সেই চাপ কিছুটা কাটিয়ে উঠে পাকিস্তান। ১৪তম ওভারেও ক্রিজে ব্যাট করছিলেন তারা। যেখানে প্রথম তিন বলে কোনো রান দেননি ডাচ পেসার পল ফন মেকেরান। চতুর্থ বলে সিঙ্গেল নেন রিজওয়ান। পঞ্চম বলে চার মারেন শাকিল। এরপরই ওভার ঘোষণা করেন দুই অনফিল্ড আম্পায়ার আদ্রিয়ান হোল্ডস্টোক ও ক্রিস ব্রাউন। অথচ ওভার শেষ হতে যে তখনো এক বল বাকি তা টেরই পাননি তারা। এমনকি টিভি আম্পায়ার রড টাকারও সতর্ক করেননি তাদের।
ক্রিকেট আইনের ১৭.৫ অনুচ্ছেদে লেখা আছে, “যদি আম্পায়ার বৈধ বলের সংখ্যা গণনায় ভুল করেন, তাহলে আম্পায়ারের দেওয়া ওভারের ঘোষণাটি বহাল থাকবে।”
এই ঘটনার আট ওভার পর আরও একবার ভুল করে বসেন আম্পায়াররা। ২২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রুলফ ফন ডার মারওয়েকে চার মারেন শাকিল। তখনই তিনি ও রিজওয়ান বুঝতে পারেন ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে একজন বেশি ফিল্ডার নিয়ে খেলছে নেদারল্যান্ডস। সঙ্গে সঙ্গেই আম্পায়ারকে জানান তারা। এবার অবশ্য ভুল শুধরে নিয়ে নো বলের সংকেত দেন আম্পায়ার। তারপর নো বলের বিনিময়ে পাওয়া ফ্রি-হিটে ছক্কা হাঁকান শাকিল। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৮ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২১০ রান করেছে পাকিস্তান।
বিশ্বকাপে আম্পায়ারদের এমন ভুল এবারই প্রথম নয়। চলতি বছরই নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান-ভারত ম্যাচে দেখা যায় সাত বলের ওভার।