পরাজয় যেন পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে মিশে গেছে। মজার বিষয় হলো, পাকিস্তান ক্রিকেট দল ২০১৮ সালের পর থেকে ৭ বছরে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া- এই চার দেশে একটি টেস্ট ম্যাচও জিততে পারেনি।
বর্তমানে তারা দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি টেস্ট সিরিজ খেলেছে, যেখানে তাদের পারফরম্যান্স ছিল খুবই হতাশাজনক। পাকিস্তান দল যে শেষ ২০টা টেস্ট ম্যাচ খেলেছে তার মধ্যে মাত্র একটিতে জিততে পেরেছে। এর মধ্যে দুটিতে ড্র ও বাকি সবকটিতে হেরেছে।
এইসব দেশে পাকিস্তানের শেষ জয় ছিল ২০১৮ সালে। সেই সময়ে লর্ডসে সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডকে হারায় দলটি। ২০১৯ সাল থেকে, দলটি দক্ষিণ আফ্রিকায় চারটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে এবং সবকটিতেই হেরেছে। অস্ট্রেলিয়ায় খেলা ৫টি টেস্ট এবং নিউজিল্যান্ডে ২টি টেস্ট হেরেছে পাকিস্তান। ইংল্যান্ডে তিনটি টেস্টে একটি পরাজয় হয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে তিনটি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ হয়েছে এবং পাকিস্তান একটিরও ফাইনালে উঠতে পারেনি।
২০১৮ সালের পাকিস্তান দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল। দুটি টেস্টেই হেরেছিল পাকিস্তান।
২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান। এই সিরিজে তাদের ফলাফল ছিল ০-৩, যেখানে তারা প্রতিটি ম্যাচে পরাজিত হয়।
২০২০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলে পাকিস্তান। প্রথম টেস্টে তারা ৪২ রানে এবং দ্বিতীয় টেস্টে ১৭ রানে পরাজিত হয়।
২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলে পাকিস্তান। প্রথম টেস্টে তারা ৩৩ রানে এবং দ্বিতীয় টেস্টে ৩৫ রানে হার মানে।
এই পরিসংখ্যানগুলো দেখায় যে, পাকিস্তান এই দেশগুলোতে তাদের টেস্ট পারফরম্যান্সে উল্লেখযোগ্যভাবে পিছিয়ে পড়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত, অর্থাৎ ২৪১৬ দিন ধরে পাকিস্তান দল এইসব দেশে কোনও টেস্ট ম্যাচ জিততে পারেনি। যা তাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।