চার-ছক্কার ধুন্ধুমার খেলা টি-টোয়েন্টি। ২০ ওভারে ৩০০—আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই কীর্তি ছিল একমাত্র নেপালের। গত বছর মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে নেপালের করা ৪ উইকেটে ৩১৪ রান ছাপিয়ে ২৩ অক্টোবর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে জিম্বাবুয়ে।
২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আফ্রিকান উপআঞ্চলিক বাছাইপর্বের ম্যাচে গাম্বিয়ার বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে ৪ উইকেটে করেছে ৩৪৪ রান! অধিনায়ক সিকান্দার রাজা একাই করেছেন অপরাজিত ১৩৩ রান, সেটাও মাত্র ৪৩ বলে।
নাইরোবির রুয়ারাকা স্পোর্টস ক্লাব মাঠে আগে ব্যাট করে উদ্বোধনী জুটি থেকেই ভালো শুরু পেয়ে যায় দলটি। দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও তাদিওয়ানাশে মারুমানি—দুজনই ফিফটি করেছেন।
বেনেট ২৬ বলে ৫০ রান করলেও মারুমানির ৬২ রান এসেছে মাত্র ১৯ বলে। তিনে নামা ডিওন মেয়ার্স ৫ বলে ১২ রান করে আউট হলেও অধিনায়ক রাজা চারে নেমে ছক্কার বৃষ্টি নামান।
৩৩ বলে সেঞ্চুরি করেন রাজা, যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম। নামিবিয়ার ইয়ান নিকোল লফটি–ইটনও ৩৩ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন।
রাজার বিস্ফোরক ইনিংসে চার ছিল ৭টি, ছক্কা ১৫টি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ব্যক্তিগত ইনিংসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড এটি। শেষের দিকে ফিফটি করেছেন ক্লাইভ মাদান্দেও। তাঁর অপরাজিত ৫৩ রান এসেছে ১৭ বলে।
ব্যাট হাতে জিম্বাবুয়ের মহাপ্রলয় বইয়ে দেওয়ার দিনে স্বাভাবিকভাবেই অসহায় ছিলেন গাম্বিয়ার বোলাররা। সবচেয়ে বাজে দিন পার করেছেন মুসা জোরবাতেহ। গাম্বিয়ার এই পেসার ৪ ওভারে দিয়েছেন ৯৩ রান, যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির এক ইনিংসে সবচেয়ে খরুচে বোলিং।
জোরবাতেহ এই বিব্রতকর রেকর্ড থেকে মুক্তি দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার কাসুন রাজিতাকে। ২০১৯ সালে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪ ওভারে ৭৫ রান দিয়েছিলেন রাজিতা।