রোববার রাতে সারা বিশ্ব অপেক্ষায় ছিল আরেকটি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মহারণের। বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল ম্যাচটি। কিন্তু ব্রাজিলের জাতীয় স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধান এজেন্সির কর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সদস্যদের হানায় নানা নাটকীয়তা শেষে স্থগিত হয়ে যায় ম্যাচটি।
আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড় কোয়ারিন্টিনের নিয়ম না মেনেই ব্রাজিলে গিয়েছেন—এমন অভিযোগ ছিল ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্তাদের পক্ষ থেকে। দিনভর গুঞ্জনও ছিল এই চার খেলোয়াড় খেলতে পারবেন না। কিন্তু ব্রাজিলের কর্তৃপক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো নির্দেশনা না আসায় তাদের রেখেই একাদশ সাজান আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কলানি।
সেই একাদশ নিয়ে ব্রাজিলের সাও পাওলোতে ম্যাচ শুরুও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সাত মিনিটের মাথায় খেলার রোমাঞ্চে জল ঢেলে মাঠে আবির্ভাব ঘটে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্তাদের। কোয়ারেন্টিন ভাঙার অভিযোগে মার্তিনেজ, রোমেরো ও লো সেলসোকে আটকে উদ্যত হন তারা। এ নিয়ে খেলোয়াড় ও স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তাদের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। একপর্যায়ে ম্যাচটিই স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
ম্যাচ স্থগিতের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থাও। এর ফলে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের এই ম্যাচটি না খেলেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে লিওনেল মেসি ও নেইমারদের।
সাও পাওলোর স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, দেশটিতে অব্রাজিলীয়দের ব্রিটেন, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত থেকে সরাসরি প্রবেশের অনুমতি নেই। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে ব্রাজিলে প্রবেশের আগে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নিতে হবে। অন্যথায় ব্রাজিলে প্রবেশের পর ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন করতে হবে। অ্যাস্টন ভিলা ও টটেনহামে খেলার কারণে এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া ও জোভান্নি লো সেলসোর কেউই ১৪ দিনের এই কোয়ারেন্টিন পালন করেননি। তারা ইংল্যান্ড থেকে আর্জেন্টিনা হয়ে প্রথমে গিয়েছেন ভেনেজুয়েলায়। এরপর আসে ব্রাজিলে। আর্জেন্টিনা ও ভেনেজুয়েলায় যদি তারা ১৪ দিন কাটিয়ে আসতেন তাহলে কোনো সমস্যা ছিল না বলে বলেই জানিয়েছে সাও পাওলোর স্বাস্থ্য বিভাগ।