সিলেটের মাঠে এশিয়া কাপের ১০ম ম্যাচে মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান ও থাইল্যান্ডের মেয়েরা। ১ বল হাতে পাকিস্তানকে হারিয়ে আসরে প্রথম জয় তুলে নিয়েছে থাইল্যান্ড।
টস জিতে পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১১৬ রান।
ইনিংসের শুরুতে ২৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। ব্যক্তিগত ১৫ রানে মুনিবা আলি এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন। তবে আরেক ওপেনার সিদরা আমিন দলের হাল ধরেন। তিনি ৬৪ রানে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন। তবে বাকি ব্যাটাররা ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। বাকিদের মধ্যে একমাত্র নিদা দার দুই অঙ্কের (১২) ঘরে পৌঁছাতে পারেন।
দলীয় ৪৩ রানে অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ ৩ রানে ফেরেন। ৮৪ রানে নিদা আউট হন। ১১ রান যোগ হতেই আয়েশা নাসিম প্যালিভিয়নের পথ ধরেন। দলের পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে ১১০ রানে। পাকিস্তানের ইনিংস থামে ১১৬ রানে, ৫ উইকেটের বিনিময়ে।
থাইল্যান্ডের সোর্ননারিন টিপ্পোচ দুইটি উইকেট পান। একটি উইকেট পান থিপাচা পুত্থাওং।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার নান্নাপাট কনচরোয়েঙ্কাই ও নথকান চনথাম চমৎকার শুরু করেন। দলের ৪০ রানে নান্নাপাট ব্যক্তিগত ১৩ রানে আউট হন। একই রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটলে আরেক ওপেনার চনথাম একপ্রান্ত আগলে খেলেন। তিনি দলীয় অধিনায়ক নারুয়েমল চাইওয়াইকে সঙ্গে নিয়ে দলের রানের গতি সচল রাখতে সচেষ্ট হন।
তবে দলীয় ৮২ রানে অধিনায়কও ফেরত যান। পরের ব্যাটারদের কেউই অবশ্য চনথামকে সঙ্গ দিতে পারেননি। তিনিও আউট হন দলীয় ১০৫ রানে। ততক্ষণে অবশ্য জয়ের দ্বারপ্রান্তে থাইল্যান্ড। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫১ বলে ৬১ রান। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫টি চার ও ২টি ছয়ে।
১ বল হাতে রেখেই পাকিস্তানের দেওয়া লক্ষ্যে পৌঁছে যায় থাইল্যান্ড। তারা ম্যাচ জিতে নেয় ৪ উইকেটে।
টানা দুই জয়ের পর পাকিস্তানের এটা প্রথম পরাজয়। অন্যদিকে আসরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা থাইল্যান্ড তুলে নিয়েছে প্রথম জয়।