• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্রাদার্স সমর্থক ও শেখ জামালের খেলোয়াড়ের সংঘর্ষ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২১, ১০:০২ পিএম
ব্রাদার্স সমর্থক ও শেখ জামালের খেলোয়াড়ের সংঘর্ষ

খেলাধুলায় মারামারি সব সময়ই লজ্জার। মাঠের ভেতরে একে অন্যের প্রতিপক্ষ হলেও মাঠের বাইরে ক্রীড়াবিদদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাবই দেখা যায়। কিন্তু বাংলাদেশ ফুটবলে ঘটেছে এবার লজ্জার কাণ্ড। ঘটিয়েছে প্রিমিয়ার লিগের দুই দল। খেলা শেষে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ফুটবলাররা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন ব্রাদার্স ইউনিয়নের সমর্থকদের সঙ্গে।

এমনিতেই দুই ক্লাবই অবনমিত হয়েছে প্রিমিয়ার লিগ থেকে। আজ (২১ আগস্ট) শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যাচের যোগ করা সময়ে বারবার চোটে পড়ার অজুহাতে সময় নষ্ট করছিলেন ব্রাদার্সের ফুটবলাররা। ফলে গোলশূন্য ড্র হওয়ায় খেলা শেষে সমর্থকদের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন শেখ জামালের ফুটবলাররা।

ম্যাচের শেষের দিকে বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পায় শেখ জামাল। সে সময় সামনে দাঁড়িয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন ব্রাদার্সের নাঈম হোসেন। মেজাজ হারিয়ে তাকে ধাক্কা দেন শেখ জামালের ফজলে রাব্বি। ধাক্কা খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নাঈম। এটা দেখেই নাঈমকে দ্রুত তুলে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন রাব্বি। কিন্তু সে সময় রাব্বিকে মারতে এগিয়ে আসেন ব্রাদার্সের ফুটবলাররা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দুই দলের ফুটবলাররা এরপর হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।

এ ঘটনার পর রেফারি শেখ জামালের রাব্বি ও শাকিল আহমেদকে আর ব্রাদার্সের নাঈমকে হলুদ কার্ড দেন। একটু পরেই কর্নার পায় শেখ জামাল। কিন্তু সে কর্নার শেষ না করেই শেষ বাঁশি বাজান রেফারি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শেখ জামালের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন ও অন্য কয়েকজন ফুটবলার রেফারিদের ঘিরে ধরেন। 

সে সময় গ্যালারি থেকে ব্রাদার্সের সমর্থকেরা গালাগালি করতে থাকেন। খেলা শেষে ড্রেসিংরুমে ঢুকছিলেন ডিফেন্ডার রেজাউল। কিন্তু মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে গ্যালারিতে ঢুকে সমর্থকদের মারতে শুরু করেন তিনি। ব্রাদার্সের সমর্থকেরাও রেজাউলসহ অন্য ফুটবলারদের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। 


২২ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়েই আছে শেখ জামাল। সমান ম্যাচে ৭ পয়েন্ট ব্রাদার্সের।

Link copied!