• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

কিংস্টনে বাবর-ফাওয়াদে বিপর্যয় এড়াল পাকিস্তান


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২১, ১২:২৮ পিএম
কিংস্টনে বাবর-ফাওয়াদে বিপর্যয় এড়াল পাকিস্তান

কিংস্টনের সাবিনা পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিস ও পাকিস্তাবের মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্টেও বোলারদের রাজত্ব দিয়ে শুরু হয়েছিল।  প্রথম ঘণ্টার নিয়ন্ত্রন ছিল বোলারদের হাতেই।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের কাছে শুরুতে তিন উইকেট হারিয়ে ফেললেও, মিডল অর্ডারের দৃঢ়তায় নিরাপদে দিন শেষ করেছে পাকিস্তান।

প্রথম দিন শেষে তাদের স্কোর ৪ উইকেটে ২১২। উইকেটে আছেন ২৩ রানের অপরাজিত ফাহিম আশরাফ। তার সঙ্গী মোহাম্মদ রিজওয়ান খেলছেন ২২ রান নিয়ে।

সকালে সবুজাভ উইকেটে টস জিতে বোলিং নেন উইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েইট। পাকিস্তান টপ অর্ডারের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন  দুই স্বাগতিক পেসার কিমার রোচ ও জেইডেন সিলস।

ইনিংসের তৃতীয় বলে আবিদ আলিকে ১ রানে আউট করেন রোচ। ২ ওভার পর আজহার আলীকে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় করেন এই অভিজ্ঞ বোলার।

অন্য প্রান্তে তার নতুন বলের সঙ্গী সিলসও বিপজ্জনক হয়ে ওঠেন। তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে ইমরান বাটকে প্যাভিলিয়নে ফেরান তরুণ এই পেসার। বাটের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১ রান।

২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে খাবি খেতে থাকে পাকিস্তান। সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করেন অভিজ্ঞ বাবর আজম ও ফাওয়াদ আলম। অধিনায়ক বাবর ও দলের সিনিয়র ব্যাটসম্যান ফাওয়াদ মিলে ক্যারিবিয়ানদের পেস আক্রমণকে সামাল দেন। শুরুতে দেখেশুনে খেলেন দুইজন।

বলের শাইন কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে রানের গতি। প্রায় দেড় সেশন টানা ব্যাট করেন দুইজন। চতুর্থ উইকেটে যোগ করেন ১৫৭ রান।

জ্যামাইকার গরমের সঙ্গে পেরে ওঠেননি আলম। বারবার পেশিতে টান পড়ছিল তার। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট ফিফটি পূর্ণ করে ৭৬ রানে অপরাজিত থাকার সময় আরেকবার পেশির টান লেগে পড়ে যান তিনি। তারপর আর ব্যাট করতে পারেননি। আহত হয়ে অবসর নেন। পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডের তখন ৩ উইকেটে ১৬০ রান।

সঙ্গীর বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি আজমও। ক্যারিয়ারের ১৮তম টেস্ট ফিফটি পূর্ণ করে ৭৫ রান করে রোচের বলে বিদায় নেন পাকিস্তান অধিনায়ক।

দিনের বাকি প্রায় ১৪ ওভার কোনো বিপদ হতে দেননি আশরাফ ও রিজওয়ান। ১৩.২ ওভার খেলে ৪৪ রান যোগ করেন দুইজন। পাকিস্তান শেষ করে ৪ উইকেটে ২১২ রানে।

উইন্ডিজের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন রোচ। ৪৯ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। সিলস ২৫ রানে নেন ১ উইকেট।

Link copied!