বাংলাদেশের দেওয়া ১০৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় অস্ট্রেলিয়া। ৬ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটের জয় পায় সফরকারী দলটি। অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ১৫ বলে ৩৯ রান করেন ড্যান ক্রিস্টিয়ান। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে এসে জয় পেল অজিরা। বাংলাদেশ সিরিজে ৩-১-এ এগিয়ে রয়েছে।
স্বাগতিক বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার চতুর্থ ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান করে বাংলাদেশ। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ রান ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ। অজিদের হয়ে সোয়েপসন নিয়েছেন ৩ উইকেট।
১০৫ রানের লক্ষ্যে অজিদের হয়ে ব্যাট করতে নামেন অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড ও বেন ম্যাকডারমট। বাংলাদেশের হয়ে সিরিজের আগের ম্যাচগুলোর মতো বোলিং আক্রমণে আসেন শেখ মেহেদী। মেহেদীর রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা বল অ্যাঙ্গেল তৈরি ভেতরে ঢুকলে বোল্ড হয়ে যান ম্যাথু ওয়েড। ৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ওভারে অজিরা করতে পারে ৯ রান। চার ম্যাচে এ নিয়ে তিনবারই বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দিলেন মেহেদী। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সফল তিনি।
সাকিবের দ্বিতীয় ওভারে অজিরা করতে পারে ৫ রান। ড্যান ক্রিস্টিয়ান ও ম্যাকডারমট মিলে নাসুমের প্রথম ওভারে তুলতে পারে ১ রান। ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে সাকিবের ওপর টর্নেডো চালান ক্রিস্টিয়ান। সাকিবের ওভারে ৫টি ছয়ের মাধ্যমে ৩০ রান তুলেন ক্রিস্টিয়ান। এটিই সাকিবের খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড। এর আগেও একবার ৩০ রান দিয়েছিলেন সাকিব। ২০১৯ সালে রায়ান বার্ল তিন ছক্কা ও তিনটি চারের মাধ্যমে ৩০ রান করেছিলেন।
পাঁচ ছক্কার ওভারের পরের দুই ওভারে পড়ে দুই উইকেট। বেন ম্যাকডারমটকে এলবিডব্লু হয়েছেন নাসুম আহমেদের বলে। পরের ওভারে এসেই সফল হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। মোস্তাফিজের বলে কাভার পয়েন্টে শামীমের হাতে ধরা পড়েছেন ১৫ বলে ৩৯ রান করা ড্যান ক্রিস্টিয়ান।
সাকিবের বলে রানআউট হয়েছেন মোয়েজেস হেনরিকস। মোস্তাফিজের স্লোয়ার ঠেকাতে না পেরে এলবিডব্লু হয়েছেন অ্যালেক্স ক্যারি। ৬৩ রানে ৫ম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
আগের তিন ম্যাচের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মার্শকে বোল্ড করেন মেহেদী। ১৫ বলে ১১ রান করে আউট হন তিনি।
এরপরে অ্যাস্টন অ্যাগার ও অ্যাস্টন টার্নার মিলে ৩৪ রানের জুটি গড়েন। ২ চার ও একটি ছয়ের মাধ্যমে ২৭ বলে ২৭ রান করেন অ্যাস্টন অ্যাগার।
সিরিজের শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৯ আগস্ট।