• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সবার আগে ‘পাঁচ হাজারে’ মুশফিক


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২২, ১১:৪৯ এএম
সবার আগে ‘পাঁচ হাজারে’ মুশফিক
ছবি সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে মাঠে নামার আগে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করতে মুশফিকুর রহিমের প্রয়োজন ছিল ৬৮ রান। চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে পাঁচ হাজার রানের মালিক হয়ে গেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।

বুধুবার (১৮ মে) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ইনিংসের ১২৩তম ওভারে  লঙ্কান পেসার আসিথা ফার্নান্ডোর বলে ২ রান নিয়ে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন মুশফিক। এ সময় সতীর্থ, টিম ম্যানেজমেন্ট ও গ্যালারিতে থাকা দর্শকরা করতালি দিয়ে সাধুবাদ জানিয়েছেন ‍‍`মিস্টার ডিপেন্ডেবল‍‍` এই ব্যাটারকে।

সিরিজ শুরুর আগেও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন মুশফিক। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই টেস্টেই ওপেনিংয়ে নেমে ১৩৩ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলে মুশফিককে টপকে শীর্ষে উঠে যান তামিম ইকবাল। কিন্তু হাতের চোটে পড়ে ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হয়ে বিশ্রামে গেলে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে ছাপিয়ে আবারও শীর্ষে ওঠেন মুশফিক।  

মুশফিক ব্যাটিংয়ে নামার আগে টেস্ট রান ছিল ৪৯৩২। ব্যক্তিগত ৬৮ রানে যখন মুশফিক পা দেন তখনই রেকর্ড বুকে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাদা পোশাকে পাঁচ হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি। এই অর্জনে তার সময় লেগেছে ৮১ টেস্টের ১৪৯ ইনিংস। এই দৌড়ে মুশফিকের পিছনেই অবশ্য ছুটছেন সতীর্থ তামিম। ১২৬ ইনিংসে তার রান ৪৯৮১। আর ৪০২৯ রান নিয়ে তালিকার তিনে আছেন সাকিব আল হাসান।

লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০৫ সালে টেস্ট অভিষেক হয় মুশির। এরপর ২০১০ সালে ক্যারিয়ারের এক হাজার রান করেন মুশফিক। এই চট্টগ্রামেই প্রথম ইনিংসে ৭৯ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৫ রান করে এক হাজার রান পূরণ করেন তিনি। যা করতে তার লেগে যায় ৩৯ ইনিংস। তার চেয়ে কম সময়ে হাজার রান করেছেন বাংলাদেশের আটজন ব্যাটার।

তবে এরপর এক থেকে দুই, দুই থেকে তিন ও তিন থেকে চার- প্রতিটি হাজার রানের মাইলফলকে মুশফিকের লেগেছে সমান ২৮ ইনিংস করে। এবার দেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে চার থেকে পাঁচ হাজারে পৌছালেন ২৬ ইনিংস খেলে। যা প্রমাণ করে ক্রমেই আরও পরিণত হয়েছেন এ ডানহাতি অভিজ্ঞ ব্যাটার।

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম এক হাজার, দুই হাজার ও তিন হাজার রানের মালিক সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন। ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক হাজার, ২০০৪ সালে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দুই হাজার এবং ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন হাজারি ক্লাবে ঢোকেন বাশার।

এরপর চার হাজারি ক্লাবের দেখা পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয় দশটি বছর। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে চার হাজার রানের ক্লাবে নাম তোলেন তামিম ইকবাল। এর চার বছরের মাথায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাঁচ হাজারের দরজা খুললেন মুশফিক।

বাংলাদেশের প্রথম হলেও বিশ্ব ক্রিকেটে মুশফিকের আগেই পাঁচ হাজার রান করেছেন ৯৮ জন ব্যাটার। এ তালিকায় ৯৯তম ব্যাটার হলেন মুশফিক। এখন তামিমের সামনে সুযোগ ১০০তম ব্যাটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে পাঁচ হাজারি ক্লাবে ঢোকার। তার প্রয়োজন আর ১৯ রান।

Link copied!