• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

টাইগারদের সামলে বড় সংগ্রহের পথে প্রোটিয়ারা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২২, ০৪:১৫ পিএম
টাইগারদের সামলে বড় সংগ্রহের পথে প্রোটিয়ারা
ছবি সংগৃহীত

বাংলাদেশি বোলারদের শুরু থেকেই বেধড়ক পিটুনি দিয়ে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার ডিন এলগার ও সারেল এরউই। তবে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই সারেল এরউই ফিরতে পারতেন। কিন্তু খালেদ আহমেদের বলে অধিনায়ক মুমিনুল হকের সিদ্ধান্তহীনতায় সময়মত রিভিউ নিতে পারেনি বাংলাদেশ।

সেই এরউইকে শেষ পর্যন্ত ফেরালেন খালেদই। বাংলাদেশ ইনিংসের ১২তম ওভারের শেষ বলে ব্যক্তিগত ২৪ রানে উইকেটের পিছনে লিটন দাসের দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরের পথ ধরেন। এরপর আর কোনো বিপদ ঘটেনি স্বাগতিকদের ব্যাটিং শিবিরে।  

ফলে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রথম সেশন শেষে ২৮ ওভারে ১ উইকেটে ১০৭ রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগার ৫৯ আর কিগান পিটারসেন ২৪ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু করবেন। 

শুক্রবার (৮ এপ্রিল) পোর্ট এলিজাবেথের সেন্ট জর্জেস পার্কে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ে পাঠায় স্বাগতিকরা। পেসার খালেদ আহমেদের বোলিংয়ে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই উইকেট পেতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু আম্পায়ারদের আবেদনে সাড়া না পেয়ে খালেদের রিভিউ চাওয়া সত্ত্বেও টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল তাতে সাড়া দেননি। 

পরে রিপ্লেতে দেখা যায়, আউট ছিলেন প্রোটিয়া ওপেনার এরউই। ৪ রানে জীবন পাওয়া ওপেনার এরউই অবশেষে ১২তম ওভারে ফেরেন সেই খালেদ আহমেদের বলেই। বাম দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ এক ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লিটন। সাজঘরে ফেরার আগে ৪ চারের মারে ৪০ বলে ২৪ রান করেন তিনি। 

অবশ্য উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর সেশনের বাকি সময়ে আর সাফল্য মেলেনি বাংলাদেশের। উল্টো বাংলাদেশি বোলারদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এলগার ও তিন নম্বরে নামা কেগান পিটারসেন। দারুণ সব শটে মাত্র ৬৬ বলে ৬ চারের মারে ফিফটি তুলে নেন এলগার।

ডারবানে সিরিজের প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসেই ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন এলগার। তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৬৭ ও ৬৪ রানের ইনিংস। এবার ফিফটির হ্যাটট্রিক করে ৫৯ রানে অপরাজিত রয়েছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। অন্যদিকে ওয়ান ডাউনে নেমে ২৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন কেগান পিটারসেন।

বোলিংয়ে বাংলাদেশের ৪ বোলার পুরো সেশনে বল করে মাত্র ২ ওভার মেডেন পেয়েছেন। যেখানে খালিদ, মিরাজ ও এবাদতরা প্রোটিয়া ব্যাটারদের বিপক্ষে ওয়ানডে স্টাইলে মার খেয়েছেন।  

Link copied!