দিনের প্রথম সেশনে জোড়া ক্যাচ মিস ও রিভিউ নিতে অদক্ষতা দেখানোয় মাত্র ১ উইকেট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল বাংলাদেশি বোলারদের। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে যেনো পুরাই বদলে গেল মুমিনুল হকরা। যার ফলে এবাদত হোসেন ও মেহেদি হাসান মিরাজের জোড়া আঘাতে দেড়শ রানের আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষে ৬১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ১৫৭ রান। প্রথম ইনিংসের ৬৯ রানের লিডসহ ২২৬ রানে স্বাগতিকরা এখন এগিয়ে রয়েছে।
৮ রান করা রায়ান রিকেলটনের সঙ্গী ৫ রানে অপরাজিত উইয়ান মুল্ডার।
বেশ দৃঢ় একটা জুটি নিয়ে সেশনটা শুরু করেছিলেন ডিন এলগার ও কিগান পিটারসেন। বিরতির পর প্রথম ওভারেই প্রথমবারের মতো এ ইনিংসে বোলিং করতে আসেন কাঁধের চোটে ভোগা তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রুও দেন। গুডলেংথ থেকে তাঁর ভেতরের দিকে ঢোকা বলে যথেষ্ট দৃঢ় ছিল না ৬৪ রান করা ডিন এলগারের রক্ষণ। বাংলাদেশ অবশ্য সে উইকেট পেয়েছে রিভিউ নিয়ে, অন-ফিল্ডে এলবিডব্লুর আবেদন নাকচ করেছিলেন আম্পায়ার মারাই এরাসমাস। এ টেস্টে এ নিয়ে পাঁচটি সিদ্ধান্ত বদলালেন এরাসমাস। এলগারের উইকেটের পরই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ভালোভাবে চেপে ধরে বাংলাদেশ, আর ১০ রান তুলতে তারা হারায় কিগান পিটারসেন ও টেম্বা বাভুমাকেও।
পিটারসেনের উইকেট পান বেশ কিছুক্ষণ ধরেই ভালো বোলিং করা মেহেদী হাসান মিরাজ। গুডলেংথের বলটা ব্যাকফুটে গিয়ে খেলতে গিয়ে শর্ট লেগে মাহমুদুল হাসানের ভালো ক্যাচে পরিণত হন পিটারসেন, ৮৫ বলে ৩৬ রান করার পর। অবশ্য এর আগেই রান-আউট হতে পারতেন পিটারসেন, তবে পয়েন্ট থেকে প্রথম ইনিংসে নিজের দুর্দান্ত সরাসরি থ্রোয়ের পুনরাবৃত্তি করতে পারেননি মিরাজ।
পিটারসেনের আউট হওয়ার পরের ওভারে অবশ্য ‘দায়মোচন’ করেছেন প্রথম ইনিংসে ডিন এলগারের ক্যাচ ফেলা ইয়াসির আলী। এবার ইবাদত হোসেনের বলে স্লিপে নিয়েছেন বাভুমার অবিশ্বাস্য ক্যাচ নেন ইয়াসির আলী। স্লিপে বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে নীচু হওয়া ক্যাচটা নিয়ে ইয়াসির ঢুকে গেছেন হাইলাইটস প্যাকেজে।
রায়ান রিকেলটন ও কাইল ভেরেইনা চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তবে তাঁদের জুটিও টেকেনি বেশিক্ষণ। ভেরেইনাকে প্রায় ফিরিয়েছিলেন মিরাজ, আম্পায়ার আড্রিয়ান হোল্ডস্টকের এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত বদলে গেছে রিভিউয়ের পর। শেষ পর্যন্ত মিরাজের বলেই ফিরতে হয় তাঁকে। রিভার্স সুইপ করতে যাওয়া ভেরেইনার বটম-এজ তাঁর বুটে লেগে যায় ক্লোজ-ইনে থাকা সাদমান ইসলামের কাছে।
‘কিং-পেয়ার’-এর সামনে থাকা উইয়ান মুল্ডার ক্যাচ তুলেছিলেন প্রথম বলেই, কিন্তু সেটি গিয়েছিল একটু নিচু হয়ে। মুল্ডার জীবন পেয়েছেন পরের ওভারেই, এবার নিজের বলে ফিরতি ক্যাচটার কাছে ঠিক সময়ে হাত নিয়ে যেতে পারেননি খালেদ আহমেদ। বর্ধিত সেশনের বাকিটা সময় নিরাপদেই পার করেছেন মুল্ডার ও রিকেলটন। তাসকিন শেষ পর্যন্ত করেছেন ৭ ওভার।