সাইফ হাসানের অলরাউন্ড পারফর্মেন্সে চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) পঞ্চম ম্যাচে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে ৬ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। বল হাতে ৩০ রানে ৩ উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতেও খেলেন ৬২ রানের ইনিংস।
বুধবার (১৬ মার্চ) সাভারের বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে আগে ব্যাট করতে নামে খেলাঘর। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ওপেনার পিনাক ঘোষ ৪ রান করে সাজঘরে যান। এরপর ক্রিজে আসেন অমিত। কিন্তু কেউ এই ব্যাটারকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি।
অমিত ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে দুই রান নিয়ে পৌঁছে যান তিনি অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে। এটি তার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। এর আগে ৮টি লিস্ট এ ম্যাচ খেলা অমিতের কোনো ফিফটিও ছিল না। সর্বোচ্চ ছিল ৪৩ রান। এই ৮ ম্যাচে ১৮.৬৬ গড়ে অমিত করেন ১১২ রান। আজ ছাড়িয়ে গেলেন নিজেকেই। প্রথম ফিফটির আগেই পেলেন সেঞ্চুরি। ১৩৬ বলে ১০৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। যেখানে ১২টি চারের মার আসে অমিতের ব্যাট থেকে।
এছাড়া ভারতীয় ব্যাটসম্যান আশোক ম্যানেরিয়ার ৩২ আর মাসুম খান টুটুলের ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান। এছাড়া আর কেউ ত্রিশের ঘর পেরোতে পারেননি।
এতে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ২২১ রানের সংগ্রহ পায় খেলাঘর। শেখ জামালের হয়ে সাইফ ৩টি ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী নেন ২টি উইকেট।
এরপর খেলাঘরের দেওয়া ২২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শেখ জামালকে দারুণ শুরু এনে দেন দলটির দুই ওপেনার সৈকত আলী ও সাইফ। সৈকত শুরু থেকে আগ্রাসী থাকলেও মন্থর ব্যাটিং করলেও দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শতরানের জুটি গড়েন। তাদের জুটি ভাঙে দলীয় ১১১ রানে। অশোক ম্যানেরিয়ার বলে ৫৮ বলে ৬৩ রান করে ক্যাচ আউট হন সৈকত।
ওপেনিং সঙ্গী সৈকতকে হারিয়ে সাইফও তার অর্ধশতককে বেশিদূর টেনে নিতে পারেননি। হোসেন আলীর বলে ৬২ রানে থামেন সাইফ। দলপতি ইমরুল কায়েসকেও ফেরান হোসেন আলী। তার আগে ২৫ বলে ১৬ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
১৪৯ রানে তিন উইকেট হারানোর পর আর বিপদে পড়েনি শেখ জামাল। জহুরুলের ৪৭ ও নুরুল হাসানের ২৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে ৪ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় শেখ জামাল।
ম্যাচসেরা হয়েছেন অলরাউন্ড পারফর্মেন্স করা সাইফ হাসান।