আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে শারীরিক ও মানসিকভাবে খেলার জন্য তৈরি নন বলে দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ছুটি চেয়েছিলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তার আবেদন আমলে নিয়ে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দিয়েছে তাকে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সাকিবকে তিন সংস্করণে রেখেই চলতি বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা দিয়েছে বিসিবি।
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন কারণে কয়েকটি সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন সাকিব। তাছাড়া সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও আগামী বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে টেস্ট খেলতে না চাওয়ার আবদারও জানিয়েছেন আগেই। এত কিছুর পরও কেন তিন ফরম্যাটের চুক্তিতেই রাখা হলো সাকিবকে?
শুক্রবার (১১ মার্চ) সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এই বিষয়ে খোলাসা করেছেন জাতীয় দলের দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও আব্দুর রাজ্জাক।
প্রধান নির্বাচক নান্নু জানিয়েছেন, ‘‘সাকিব অনেক বড় মাপের খেলোয়াড়। বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের একজন। ওর কাছে সবসময় সেরাটাই আমরা চাই। সেজন্য তাকে তিন ফরম্যাটেই রাখা হয়েছে। যেহেতু এ বছর আমাদের অনেক খেলা আছে। আগামী এক বছর আমরা সাকিবের কাছ থেকে আরও ভালো পারফরম্যান্স চাচ্ছি।’’
তিনি বলেন, 'সে আমাদের সেরা খেলোয়াড়। সেরা খেলোয়াড়কে আমরা সবসময় তিন ফরম্যাটেই চাই। বোর্ড যেহেতু ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাকে বিশ্রাম দিয়েছে। আশা করি সে রিফ্রেশ হয়ে ফিরে আসবে এবং তিন ফরম্যাটেই ক্রিকেট খেলবে।'
যোগ করেন নান্নু, ‘আমরা প্রায় এক মাস আগে এই তালিকা জমা দিয়েছি। সাকিব দেশে আসলে অবশ্যই এই বিষয়ে আমরা কথা বলব।’
সাকিবের তিন ফরম্যাটে থাকা নিয়ে রাজ্জাক জানিয়েছেন, এই অলরাউন্ডার যদি কোনো ফরম্যাট থেকে নিজে সরে না যান তবে বোর্ড থেকে তাকে সরিয়ে দেয়া অনেক কঠিন।
কারণ হিসেবে রাজ্জাক ব্যাখ্যা দিয়েছেন, সাকিব বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। এ বছর দেশের অনেক খেলা রয়েছে। তাই সাকিবকে তারা চান তিন ফরম্যাটেই।
এ প্রসঙ্গে রাজ্জাক বলেন, 'তিন ফরম্যাটে রাখার সিস্টেমটা এমন না যে কেউ যদি দুটি সিরিজে রেস্ট নেয় তাহলে তাকে তিন ফরম্যাটে রাখা যাবে না। ক্রিকেট বোর্ড সবার সঙ্গে কথা বলেছে, কে কে কোন কোন ফরম্যাট খেলতে চায়। তারপর ক্রিকেট বোর্ড একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আমরা কাদের কোন ফরম্যাটের জন্য বিবেচনা করবো। সাকিব কিন্তু এখনও কোনো ফরম্যাট থেকে সরে যায়নি। সাকিব এই মাপের প্লেয়ার যে সে যদি কোনো ফরম্যাট থেকে নিজে থেকে সরে না যায়, ক্রিকেট বোর্ডের সরিয়ে দেয়াটা কঠিন।'
তিন ফরম্যাটে সাকিবকে রাখলেও ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল বাদ পড়েছেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে।
তামিমের বিষয়ে প্রধান নির্বাচক নান্নুর ব্যাখ্যা এমন, ‘এখানে একটা সিস্টেম আছে- যে যে ফরম্যাটে অফ আছে এখন, তামিম যদি ঐ ফরম্যাটে দলে অন্তর্ভুক্ত হয় সেও বেতনের আওতায় চলে আসে। এখানে আক্ষেপের কিছু নেই। তামিম ৬ মাস পর টি-টোয়েন্টি দলে অন্তর্ভুক্ত হলে অবশ্যই বেতনভূক্তদের তালিকায় ঢুকে যাবে।’