আগামী ৪ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডে হবে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। টুর্নামেন্টে চমক রেখে বিশ্বকাপের প্রাইজমানি ঘোষণা করল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। নারী ক্রিকেটের প্রসারে বিনিয়োগ বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি এবারের বিশ্বকাপের প্রাইজমানি প্রায় দ্বিগুণ করেছে।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এই টুর্নামেন্টের প্রাইজমানি ঘোষণা করা হয়। সবমিলিয়ে এবারের আসরে দেওয়া হবে ৩৫ লাখ ডলার। যা গত আসরে ছিল ২০ লাখ ডলার। ফলে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের চেয়ে ৭৫ শতাংশ বেশি প্রাইজমানি ঘোষণা করল সংস্থাটি।
এবারের নারী বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার। যা ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে আয়োজিত বিশ্বকাপের চেয়ে দ্বিগুণ। এছাড়া এবারের রানার্সআপ দলকে দেওয়া হবে ৬ লাখ ডলার। যা গত আসরের চেয়ে ২ লাখ ৭০ হাজার ডলার বেশি।
সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া দুই দলের জন্য থাকছে সমান ৩ লাখ ডলার করে। আর প্রথম রাউন্ডে বাদ পড়া চার দলের জন্য থাকছে ৭০ হাজার ডলার করে পুরস্কার। গত আসরে প্রথম রাউন্ডে বাদ পড়া দলগুলোর জন্য ছিল পুরস্কার হিসেবে ছিল ৩০ হাজার ডলার করে।
এর বাইরে প্রথম রাউন্ডে প্রতিটি জয়ের জন্য ২৫ হাজার ডলার করে পাবে দলগুলো। এভাবে প্রথম রাউন্ডের ২৮ ম্যাচে উইনিং বোনাস হিসেবে দেওয়া হবে মোট ৭ লাখ ডলার।
গত দুই আসরেই উল্লেখযোগ্য হারে বাড়লো নারী বিশ্বকাপের প্রাইজমানি। ২০১৩ সালের আসরে সবমিলিয়ে ছিল ২ লাখ পুরস্কার। ২০১৭ সালে এটি দশগুণ বেড়ে হয় ২০ লাখ ডলার। এবার ২০২২ সালের আসরে দেওয়া হবে সবমিলিয়ে ৩৫ লাখ ডলার।
আট দলের অংশগ্রহণে এবারের আসরে গ্রুপ স্টেজের ম্যাচগুলো হবে রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে। অর্থাৎ অংশগ্রহণকারী দলগুলো নিজেদের মধ্যে খেলবে একটি করে ম্যাচ। পরে সেমিফাইনালের দুই ও ফাইনাল মিলে মোট ৩১টি ম্যাচ হবে বিশ্বকাপে।
বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচ না জিতলেও ৭০ হাজার ডলার বা প্রায় ৬০ লাখ টাকার বেশি পাবে বাংলাদেশ। আর দারুণ পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে কোনো ম্যাচ জিততে পারলেই প্রতি ম্যাচের জন্য যোগ হবে আরও ২৫ হাজার ডলার করে।
উল্লেখ্য, এবারের আসরে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে অভিষেক হচ্ছে সালমা-জাহানারাদের। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৫ মার্চ, প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ১৪ মার্চ পাকিস্তান, ১৮ মার্চ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২২ মার্চ ভারত, ২৫ মার্চ অস্ট্রেলিয়া ও ২৭ মার্চ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।