ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ১৫তম আসরের নিলামের দুই দিন শেষে কোন দলই পেলেন না বিশ্বসেরা টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
গত শনি ও রোববার ব্যাঙ্গালোরের এক হোটেলে আয়োজিত আইপিএল ইতিহাসের পঞ্চম মেগা নিলামের অলরাউন্ডার ক্যাটাগরিতে ভিত্তিমূল্য ২ কোটি রুপিতে ১০ ফ্রাঞ্চাইজির কেউই সাকিবকে দলে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। তাই দেশের ক্রিকেট আঙিনায় গুঞ্জন ছড়িয়েছে তাহলে কি আইপিএল ক্যারিয়ার এখানেই শেষ হয়ে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে ৭১ ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করা এই অলরাউন্ডারের!
ঘরের মাটিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) টানা ৫ ম্যাচে ম্যাচসেরা হয়ে বিশ্বরেকর্ড করেছেন। তার নেতৃত্বে ফরচুন বরিশাল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে। ব্যাট বল হাতে আলোর দ্যুতি ছড়িয়ে নিজেকে নতুন রূপে তুলে ধরছেন। তাই ক্রিকেটপ্রেমীরা উৎসুক দৃষ্টি চেয়ে ছিল আইপিএল নিলামের দিকে৷
বাংলাদেশ থেকে নিলামের তালিকায় থাকা ৫ ক্রিকেটারদের মধ্যে একমাত্র মোস্তাফিজ ছাড়া কেউ আইপিএলে জায়গা পাননি। গুঞ্জন ছিল সাকিবকে দলে নিতে আগ্রহী তার সাবেক দুই ফ্রাঞ্চাইজি কেকেআর ও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। এছাড়া এই তালিকায় ছিল রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোরের নামও। কিন্তু পর পর দুই দিনেই অবিক্রিত থাকলেন আগামী মাসে ৩৫ বছর পূর্ণ হতে যাওয়া এই ক্রিকেটার।
দেশের ক্রিকেট বিশ্লেষকরা সাকিবের আইপিএলে জায়গা না পাওয়া নিয়ে খুটিনাটি বিশ্লেষণের চেষ্টা করেছেন। তার মধ্যে অন্যতম কারণটি হচ্ছে আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজের জন্য আইপিএলে পুরোটা সময় থাকতে পারবেন না। এছাড়া আগামী ৮-২৩ মে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে জাতীয় দলের খেলার কথা রয়েছে সাকিবের৷ তাই ফ্রাঞ্চাইজিরা তার প্রতি আগ্রহ দেখায়নি।
নিলামে বাদ পড়ার আরেকটি কারণ হিসেবে গত আইপিএল আসরে তার ব্যাট বল সাকিবের হয়ে কথা বলেনি। এটাকে বড় একটা কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আরেকটি কারণ হতে পারে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ভারতে সম্প্রচার হয়না৷ ফলে সাকিব বিপিএলে যতই ভালো খেলুক সেটা যদি ফ্রাঞ্চাইজিরা না জানেন তাহলে সেটার দায় সাকিবেরও দেয়া যুক্তিযুক্ত হবেনা।
সাকিরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার ১৭ বছর হতে চলল। বয়সও ৩৫ হয়ে আসছে৷ এবারের মেগা নিলামে ক্রিকেটারদের সঙ্গে ৩ বছরের চুক্তির নিয়ম করেছে বিসিসিআই। ফলে সাকিব আগামী ৩ বছর দলকে সার্ভিস দিতে পারবেন কিনা এটাও বড় কারণ হিসেবে দেখছেন অনেকে।
তাই আগামী আসরে খেলার জন্য সাকিবকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অলরাউন্ড পারফর্মেন্স দিয়েই প্রমান করতে হবে তিনি ফুরিয়ে যাননি। আর তা না হলে হয়ত বিশ্বসেরা এই টাইগার কিংবদন্তিতে দেখা যাবেনা বিশ্বের সবচেয়ে জাকজমকপূর্ণ ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক টি টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে।