ব্রিজবেনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট। প্রথম দিনে ইংলিশদের কম রানে অল আউট করে ট্রেভিস হেডের সেঞ্চুরিতে বড় লিডের পথে অজিরা। হেডের সেঞ্চুরি ছাপিয়ে এই ম্যাচে আলোচনায় এসেছে ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকসের নো বল বিতর্ক। দ্বিতীয় দিন শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৪৩ রান করেছে অজিরা।
প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের বোলিং তুপে পড়ে ১৪৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় ইংলিশরা। সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন উইকেট কিপার ব্যাটার জশ বাটলার। এছাড়া অলি পোপ ৩৫, হাসিব হামিদ ২৫ ও ক্রিস ওকস করেন ২১ রান। অজিদের হয়ে পাঁচ উইকেট নেন প্যাট কামিন্স। এছাড়া দুইটি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজেলউড।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৪৩ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া। ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাট থেকে আসে ৯৪ রান। ৭৪ রানের ইনিংস খেলেছেন মার্নাস লাবুশেন। অজিদের হয়ে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন ট্রেভিস হেড। ২টি ছয় ও ১২টি চারে ৯৫ বলে ১১২ রানে অপরাজিত আছেন তিনি।
১৯৬ রানের লিড পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তিনটি উইকেট নিয়েছেন অলি রবিনসন। তবে অস্ট্রেলিয়ার বড় রানের লিডের আগেই বিতর্ক হয়েছে স্টোকসের নো বল নিয়ে। টানা চারটি নো বল করেছেন তিনি কিন্তু আম্পায়ারের চোখে তা ধরা পড়েনি। নো বলের কল্যাণেই বেঁচে যান অজি ওপেনার ওয়ার্নার।
ঘটনাটি ঘটে অস্ট্রেলিয়ার দলীয় রান ৩৭ এর সময়। এসময় ব্যাটিং করছিলেন ওয়ার্নার, আর বোলিং করছিলেন স্টোকস। সে ওভারের প্রথম চারটি বলই হয় নো। কিন্তু প্রথম তিনটি বলে বুঝতেই পারেননি আম্পায়ার। চতুর্থ বলটিতে যখন আউট হন ওয়ার্নার, তখন বিষয়টি নজরে আসে। পরে দেখা যায়, ওভারের প্রথম চারটি বলই নো বল ছিল।
স্টোকসের এই টানা চার নো বলের জন্য আম্পায়ারকেই দোষ দিয়েছেন সাবেক অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিং। তিনি বলেন, ‘কেউ যদি এগুলো পর্যবেক্ষণ করার পরেও নো বল না দেয়, তাহলে তা খুবই দুঃখজনক। আমার কাছে মনে হয়, এগুলো নো বলই ছিল। ওভারের প্রথম বলটিই যদি আম্পায়ার ধরিয়ে দিতেন, তা হলে হয়ত স্টোকস নিজেকে শুধরে নিতে পারত।’
অস্ট্রেলিয়ার আম্পায়ার সাইমন টোফেলও মাঠের আম্পায়ারদের এই সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এখন তো প্রযুক্তির সাহায্যে সব বল পর্যবেক্ষণ করার কথা। আমি বুঝতে পারছি না, কেন এই বলগুলো পর্যবেক্ষণ করা হলো না। মাঠের আম্পায়ারদের সাহায্য করার জন্য তো আইসিসির প্রযুক্তিবিদরাও রয়েছেন।’